বাজারে আগুন লেগে ভস্মীভূত হল প্রায় কুড়িটি দোকান। সোমবার গভীর রাতে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার নতুনডাঙা সব্জি বাজারে এই আগুন লাগে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে পাণ্ডবেশ্বর-বনগ্রাম রাস্তা অবরোধ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হাট বসে ওই এলাকায়। তা ছাড়া বিয়ের মরসুম উপলক্ষে আগের রাতে ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে সব্জি মজুত করে রেখেছিলেন দোকানে। গভীর রাতে হঠাৎ বাজারে আগুন লেগে যায়। ভোরের দিকে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই আগুন লাগার খবর জানতে পারেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু তত ক্ষণে প্রায় ২০টি দোকানের প্রায় সব সামগ্রীই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুন অবশ্য তখনও অল্প জ্বলছিল। ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। |
অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়েছে কাজল মণ্ডল, উজ্জ্বল ঘোষদের। নষ্ট হয়ে গিয়েছে মজুত সব্জি। তাঁরা জানান, সপ্তাহের অন্য দিনগুলিতে তেমন বিক্রি হয় না। মঙ্গলবার হাট বসে। সে দিন আশপাশের গ্রাম থেকেও ক্রেতারা আসেন। তা ছাড়া বিয়ের মরসুম থাকায় তাঁরা অতিরিক্ত সব্জি এনে রেখেছিলেন। তাঁদের কথায়, “বড় ক্ষতি হয়ে গেল। বিয়ের জন্য বরাত নেওয়া ছিল। কিন্তু সব্জি পাঠাতে পারিনি।” তাঁদের ক্ষোভ, দমকলের গাড়ি তাড়াতাড়ি এলে আগুন আগেই নিভে যেত। সে ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ হয়তো কমত। দমকলের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয় দমকলের গাড়ি। এ দিন সকালে পাণ্ডবেশ্বর-বনগ্রাম রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন নতুনগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাতে বাজারের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা থাকে। তাই শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগেনি। কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলেই তাঁদের সন্দেহ। অবরোধের ফলে বেশ কিছু যানবাহন আটকে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে যান দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেউ এমন কাজ করে থাকলে অপরাধীকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করুক পুলিশ।” পুলিশ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে কিছু ক্ষণ পরে অবরোধ উঠে যায়। |