অব্যবস্থা ও পরিষেবা না মেলার অভিযোগ তুলে নওদার স্বরূপনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার স্থানীয় বাসিন্দারা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘেরাও করে রাখেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন নওদার বিএমওএইচ সুব্রত বক্সি। তাঁকে ঘেরাও করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরে অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বড় ভবন, কর্মী ও চিকিৎসকদের আবাসন থাকলেও কোনও পরিষেবাই মিলছে না। তাঁদের অভিযোগ, সপ্তাহে ৬ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক জন চিকিৎসকের থাকার কথা। কিন্তু তাঁর দেখা মেলে সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। গ্রামবাসীরা জানালেন, চিকিৎসক তাড়াহুড়ো করে রোগীর অর্ধেক কথা ঠিক মতো না শুনেই তাকে ওষুধ লিখে দেন।
এ দিন সকাল সাড়ে ৯টার পরিবর্তে চিকিৎসক শান্তনু সরকার সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে গ্রামের প্রায় কয়েকশো মানুষ তাঁকে ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। |
জেলা পরিষদের সদস্য আরএসপি-র বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “প্রতিদিনই স্থানীয় মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে আমি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি। তবে কোনও কাজ হয়নি। বৃদ্ধ থেকে সন্তানসম্ভবা সকলের মুখেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে প্রচুর অভাব-অভিযোগ রয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রাক্তন শিক্ষক সৈয়দ ইসলাম বলেন, “কোনও পরিষেবাই মেলে না। চিকিৎসক এখানে কখনওই সময়ে আসেন না ।”
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত বক্সি বলেন, “আমি গ্রামবাসীদের কথা দিয়েছি প্রতি দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চিকিৎসক এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকবেন। পরে আমি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত চিকিৎসককে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেখে যথাযত পরিষেবার ব্যবস্থা করব। গ্রামবাসীদের অন্য যে সব অভিযোগ রয়েছে তাও দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হবে।” |