|
|
|
|
রাজখোয়া মধ্যস্থ হোন, চান আলোচনাপন্থী কেএলও-রা |
অনির্বাণ রায় • জলপাইগুড়ি |
রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হলে আলফা নেতা অরবিন্দ রাজখোয়াকে ‘মধ্যস্থতাকারী’ চাইছেন আলোচনাপন্থী কামতাপুর লিবারেশন অর্গানেইজেশনের নেতৃত্ব। কেএলও সূত্রের খবর, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকতে রাজিও হয়েছেন উলফার চেয়ারম্যান। সোমবার কেএলওর ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ টম অধিকারী বলেন, “এটি আমাদের শর্ত নয়, রাজ্য সরকার যদি অন্য মধ্যস্থতাকারী চান তাতেও আমরা রাজি।” এ দিকে, সোমবার কোচবিহারের জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনাপন্থী কেএলওদের প্রতিনিধি দল সোমবার দেখা করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা কেএলওর অর্থ সম্পাদক পুলস্ত্য বর্মন বলেন, “এদিন কোনও আলোচনা হয়নি। জেলাশাসক আমাদের সংগঠনের কে কোন পদে রয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন। সেই তালিকা তার হাতে দিয়েছি।” রবিবার বেলাকোবার কেবলপাড়া স্কুলের মাঠে প্রথম ‘প্রকাশ্য’ সভার আয়োজন করেছিল কেএলও। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেই তারা ঘোষণা করেন, সংগঠনের চেয়ারম্যান জীবন সিংহকেও আলোচনার টেবিলে আসতে হবে বলে যদি রাজ্য সরকার ঘোষণা করে তবে সংগঠনের চেয়ারম্যান কমান্ডার-ইন-চিফ জীবন সিংহকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা যাবে। দুপুরে বেলায় কাশ্য সভার পরে রাতে কেএলওর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, “সরকার আলোচনায় ডাকলে কী ভাবে এগোবে এবং আমাদের আলোচনার বার্তায় সরকার রাজি না হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে সর্বসম্মত ভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” একসময়ের ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের’ তকমা হঠাতেই রবিবার বেলাকোবার সভা মঞ্চে টাঙানো সংগঠনের ব্যানারে ‘আলোচনাপন্থী’ শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে. রবিবার সভার শুরুতেই সংগঠনের তরফে ঘোষণা করা হয়, ‘হয়তো এক সময় সংগঠন চরম পন্থা বেছে নিয়েছিল, তখন সে রকম বাধ্যবাধকতাও ছিল। এখন নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। সংগঠন চাইছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে।’’ কেএলও ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ টম অধিকারী বলেন, “রাজ্য সরকার যদি ঘোষণা করে আমাদের সংগঠনের চেয়ারম্যান জীবন সিংহকে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে বা তাকে ছাড়া আলোচনা হবে না, তবে চেয়ারম্যানকে নিয়ে আসব. কিভাবে তাকে নিয়ে আসা হবে সেটি আমাদের বিষয়। তবে আগে সরকারের সম্মতি চাই।” রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার আগাম শর্তও সংগঠনের পক্ষে দেওয়া হয়নি এবং আলোচনার পরিবেশে যাতে কোনও জটিলতা তৈরি না হয় সে কারণে ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ টম অধিকারী বলেন, “পৃথক রাজ্য বা ভাষার দাবি থাকছে। আপাতত উন্নয়নই আমাদের লক্ষ। তেলেঙ্গানা হোক বা গোর্খাল্যান্ড চাইলেই যে রাজ্য মিলে যাচ্ছে এমন নয়। তাই দেশের সংবিধানের মধ্যে থেকেই আমাদের দাবিদাওয়া পেশ করা হবে।” সরকারের সঙ্গে ‘যুদ্ধের পথ ছেড়ে তারা ছেড়ে ‘শান্তির’ সমাধান চাইছে। সেই বার্তা দিতে মঞ্চের সামনে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়। কেএলওর এই প্রথম প্রকাশ্য সভায় আইনজীবী কমলকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায়, সমাজকর্মী ভাস্কর নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|