|
|
|
|
অর্থ চেয়ে সভাধিপতির দ্বারস্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে উন্নয়ন। উন্নয়নে গতি আনতে অর্থ চেয়ে সভাধিপতির দ্বারস্থ হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ইন্দিরা আবাস যোজনার অর্থ শেষ, লোধাদের বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ থাকলেও নানা কারণে তা করা যাচ্ছে না, রেশনে বিপিএলের চালও নেই--এ ভাবে আরও কিছু দিন চললে মানুষের ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অবিলম্বে এ সব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন সভাপতিরা। সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে অথ-সঙ্কট রয়েছে। ইন্দিরা আবাস যোজনায় টাকা মিলবে বলে চিঠি এসেছে। কিন্তু এখনও টাকা আসেনি। ধান কেনাও শুরু হয়নি। বিপিএলদের জন্য চালও নেই। স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চায়েত সমিতির উপর একটা চাপ বাড়ছে। কী ভাবে দ্রুত সমস্যা মেটানো যায় সে নিয়ে আলোচনার জন্য সভাপতিরা এসেছিলেন। সবাইকেই বলেছি, একটু অপেক্ষা করতে। নিশ্চয়ই সরকার চিন্তা ভাবনা করছে।” রাজ্যে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের সরকার। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরে বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ সিপিএমেরই দখলে। আগে অর্থের সঙ্কট দেখা দিলে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সরাসরিই মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে নিতেন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানও হয়ে যেত। অন্তত কত দিনের মধ্যে সঙ্কট কাটবে তাও জানতে পারতেন। সেই মতো পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া হত। বর্তমানে সেই সুযোগ নেই। অথচ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে এখনও বামেরাই। মানুষের ক্ষোভও তাঁদেরই সামাল দিতে হচ্ছে। তাই উদ্বিগ্ন সভাপতিরা সভাধিপতির দ্বারস্থ হলেন। সভাধিপতি বলেন, “লোধাদের বাড়ি তৈরির জন্য যে সব সংস্থা বরাত পেয়েছিল তারা ঠিক মতো কাজ করতে পারেননি। মাওবাদী সমস্যার কারণেই কাজে বিঘ্ন ঘটে। ব্লক প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাওবাদী সমস্যার কারণেই ততটা অগ্রগতি হয়নি। আর অন্য ক্ষেত্রে আর্থিক কারণে কাজ করা যায়নি। সরকার কবে অর্থ দেয় তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। সেটাই সভাপতিদের জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|