|
|
|
|
ব্লক অফিসে নোটিস |
নির্বাচনের কাজ দেখিয়ে অন্য কাজ বন্ধ, শোরগোল কেশপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেশপুর ব্লক অফিসে এক নোটিস ঘিরে শোরগোল পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক মহলে। এমন নোটিস দেওয়া যায় কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার সকালে ব্লক অফিস চত্বরে দেখা যায় বেশ কয়েক জায়গায় একটি নোটিস সাঁটানো হয়েছে। নোটিসে লেখা, ‘জরুরি ভিত্তিতে ইলেকশনের কাজের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অন্য কাজ ব্যতিরেকে ইলেকশনের কাজকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে’। নীচে লেখা, ‘সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, কেশপুর।’ এ ব্যাপারে কেশপুরের বিডিও (সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক) ইন্দ্রজিৎ সরকারের বক্তব্য, “আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে, শোরগোল পড়ার মতো এই নোটিসে কিছু নেই। এখন ইলেকশনের কাজকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার পাশাপাশি, অন্য কাজ যেমন হওয়ার কথা তেমনই হচ্ছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত-র অবশ্য বক্তব্য, “খোঁজ নিচ্ছি। ব্লক অফিসে এমন নোটিস দেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে সব দিকই খতিয়ে দেখা হবে।”
নানা কাজে ব্লক অফিসে আসেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সোমবার সকালের ওই নোটিস দেখে ব্লক অফিসে আসা কয়েক জন বিভ্রান্ত হন। তাঁদের এক জনের কথায়, “আগেও বহুবার ব্লক অফিসে এসেছি। কিন্তু, এমন নোটিস এই প্রথম চোখে পড়ল। এক সরকারি কর্মীর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যেতেই উনি বললেন, ‘নোটিস নিয়ে বলতে পারব না। বিডিও’র কাছে গিয়ে জানতে চান।’ আর কথা বাড়াইনি।” অক্টোবরের গোড়া থেকেই নতুন ভোটার তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ জেলায় নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৩৫ জন। এখন আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১৯টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সব থেকে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে কেশপুর ব্লকেই। এখানে ১০ হাজার ৩ জন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করেছেন। শুধু নাম তোলাই নয়, নাম বাদ দেওয়া, বিধানসভা এলাকা পরিবর্তন, নাম সংশোধনের জন্যও আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিটি আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই কাজই হচ্ছে কেশপুর ব্লক অফিসেও। কিন্তু জেলার অন্যত্র এই কাজের জন্য অন্য কাজ বন্ধ না হলে কেশপুরেই বা হবে কেন? কেশপুরের নোটিস নিয়ে তাই ক্ষোভ ছড়িয়েছে জনমনে। জয়েন্ট বিডিও সোমনাথ রায়ের অবশ্য বক্তব্য, “সব কাজই চলছে। কোনও কাজ বন্ধ রয়েছে, এমন নয়। পরিস্থিতির কথা ভেবে আলোচনা সাপেক্ষেই এমন নোটিস দেওয়া হয়।” ব্লক প্রশাসনের দাবি, ভোটার তালিকার কাজকেই যে তারা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, এই নোটিসের মাধ্যমে মানুষের কাছে শুধু সেই বার্তাই দিতে চাওয়া হয়েছে। জেলাশাসক অবশ্য বলেছেন, “ব্লক অফিসে এমন নোটিস দেওয়া যায় না। কেন এমন হল, সে নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি।” |
|
|
|
|
|