|
|
|
|
পূর্ব মেদিনীপুর |
সঙ্কট মেটাতে প্রতিটি ব্লকে সার-গুদাম তৈরির সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলার সারের সঙ্কট মেটাতে ও সমবায়ের মাধ্যমে সার বিক্রি বাড়াতে প্রতি ব্লকে অন্তত একটি করে সারের গুদাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ও কৃষি দফতর। জেলা কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা ধীরেন্দ্রনাথ মান্না বলেন, “জেলার কৃষকদের সারের চাহিদা পূরণ করতে আমরা আরও কিছু জায়গায় বাফার গোডাউন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় ওই গোডাউন তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠানো হবে।”
চলতি বছর ইউরিয়া বাদে অন্য সব সারের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই কৃষকেরা দিশেহারা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সারের যা চাহিদা তার অধিকাংশই খোলা বাজার থেকে সংগ্রহ করেন কৃষকেরা। আবার ব্যবসায়ীদের ওই সার আনতে হয় রেলের খড়্গপুর ও চন্দ্রকোনা রোড রেক পয়েন্ট থেকে। পরিবহণে প্রচুর খরচ হচ্ছে অজুহাতে সার ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেন খোলাবাজারে। সমস্যা মেটাতে তাই সমবায়ের মাধ্যমে সার বিক্রিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ। সমবায়ের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের দফতরে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়, সার বিক্রির সুযোগ বাড়াতে জেলায় ‘সাময়িত মজুত ভাণ্ডার’ (বাফার গোডাউন) গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হবে। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরে বর্তমানে প্রায় ১৮০০ মেট্রিক টন বিভিন্ন রকমের সার মজুত রয়েছে। তা সত্ত্বেও চাষিদের কাছ থেকে কালোবাজারির অভিযোগ আসছে। মজুত ভাণ্ডার গড়ে সমবায় সমিতিগুলির মাধ্যমে সার বিক্রি করলে সঙ্কট অনেকটাই মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে।” মামুদ হোসেন আরও জানান, তমলুক-হলদিয়ায় সার মজুত ভাণ্ডার থাকলেও কাঁথি-এগরায় বিশেষ নেই। তাই কাঁথি-এগরার সমবায়গুলিতে এই মজুত ভাণ্ডার গড়ে তোলায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
জেলায় সার সরবরাহের জন্য মোট ১১টি গুদাম আছে সমবায় সংস্থা বেনফেড ও ইফকো-র। ঠিক হয়েছে, প্রতিটি ব্লকেই অন্ততপক্ষে একটি করে সারের ‘বাফার গোডাউন’ গড়ে তোলা হবে। এই নিয়ে আরও আলোচনার জন্য জেলা পরিষদ ও কৃষি দফতর আগামী ২ নভেম্বর কাঁথিতে সমবায় দফতরের অফিসে বৈঠক ডেকেছে। এ দিকে সারের কালোবাজারি রুখতে ব্লক স্তরে যে মনিটরিং কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে, তা রূপায়ণে বাস্তবে প্রশাসন উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ কৃষক সংগ্রাম পরিষদের। সংগঠনের সম্পাদক নারায়ণ নায়েকের অভিযোগ, “জেলার কয়েকটি মাত্র ব্লকে মনিটরিং কমিটি গড়া হয়েছে। অধিকাংশ ব্লকেই কমিটি গঠন হয়নি। ফলে সারের কালোবাজারি চলছে আগের মতোই।” |
|
|
|
|
|