ওরা খেলেছে বেশি জেনেছে কম, তোপ সুব্রতর
ড় ম্যাচ জেতার পরে পুরনো মেজাজেই ফিরে গেলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। পেনাল্টি বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোহনবাগান টিডি প্রাক্তন তারকাদের দিকে তোপ দাগলেন, যাঁরা বিশেষজ্ঞ হয়ে মত দিচ্ছেন। “আমি, সুভাষ ভৌমিক, প্রদীপদা, অমলদা বাদে অধিকাংশই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে বিশেষজ্ঞের মত দেয়। খেলেছে অনেক, জেনেছে কম। তাই সরাসরি বলতে পারে না।”
পেনাল্টি নিয়ে হইচই শুনে মোহন টিডির মন্তব্য, “শুধু খেললেই হয় না, জানতে হয়। সংশোধিত রুলবুক পড়তে হয়। বলটা ছিল সুনীলের ডানদিকে। বাঁ দিক থেকে ওপারা এসে পা চালানোয় সুনীলের পায়ে লাগবেই। এটাই বিজ্ঞান।” টেন অ্যাকশন স্পোর্টসের বিশেষজ্ঞ হয়ে আসা দুই ই পি এল তারকা জন বুরিজ এবং কার্লটন পামের বলেছেন, পেনাল্টিটা বিতর্কিত। সেই প্রশ্ন তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে সুব্রত বললেন, “বিদেশি বলেই যে ঠিক বলেছে, তার কী মানে? আমি রিপ্লে দেখে নিশ্চিত, ওটা পেনাল্টি ছিল।”
সকাল থেকে নানা জায়গা থেকে এস এম এস আর ফোন। দুবাই থেকে কোচবিহার, লন্ডন থেকে দিল্লি। ম্যাচ জিতে ফিরে কেমন লাগছে? সুব্রত বলে উঠলেন, “চ্যাম্পিয়ন তো হইনি। আমরা এমন ম্যাচ প্রচুর জিতেছি। প্রচুর হেরেছি। কোনও বাড়তি অনুভূতি হয় না।” মানতে চাইলেন না, ভাল না খেলার কথা, “ওরা যদি চারটে সুযোগ পায়, আমরাও চারটে সুযোগ পেয়েছি। টোলগে-মেহতাবের কথা শুনছি। আরে, আমাদেরও তো ওডাফা-ব্যারেটো-সুরকুমার-স্নেহাশিস সবে চোট অসুস্থতা সারিয়ে উঠেছে। ভাল ম্যাচ প্র্যাক্টিস পায়নি। তাতেই খেলতে নেমেছে। এটা তো কেউ বলছে না!”
চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মাল্যের সঙ্গে সবুজ-মেরুণের দুই যোদ্ধা সুনীল ও ব্যারেটো। সোমবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
বুধবারই তাঁর পুরনো ক্লাব প্রয়াগ ইউনাইটেডের সঙ্গে খেলা। তাই রাতে বড় ম্যাচ জিতেও সকালে প্র্যাক্টিস ডেকেছিলেন টিডি। ওডাফা-ব্যারেটো-নবি ছাড়া ছিলেন সবাই। সুব্রত বললেন, “বড় ম্যাচ জিতে পরের ম্যাচে অনেকেই আত্মতৃপ্ত হয়ে যায়। আজও দেখলাম, অনেকেই আত্মতৃপ্ত। এটা যাতে না হয়, দেখতে হবে। কাল প্র্যাক্টিসে গিয়েই এটা নিয়ে বলব।” ব্যারেটোর জন্য এ দিনও তাঁর মুখে প্রশংসা ফুরোচ্ছে না। কিংশুক, ড্যানিয়েল, সুরকুমার, ধনরাজনদের জন্যও আলাদা প্রশংসা। মনে হল, এই ডিফেন্সই রেখে দেবেন। প্রয়াগ ম্যাচে ব্যারেটো, জুয়েল রাজা না থাকায় নতুন করে সাজাতে হবে মাঝমাঠ। প্রয়াগের হয়ে খেলতে পারছেন না অর্ণব মণ্ডল ও ডেনসন দেবদাস।
ম্যাচ জয়ের জন্য চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মাল্য পাঁচতারা হোটেলে ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হলেন। সুব্রত, ওডাফা অবশ্য সেখানেও ছিলেন না। জয়ের আনন্দে উদ্বেলিত সিদ্ধার্থ ম্যাচ থেকে ফিরে টুইট করেছিলেন, “চেলসি বনাম লিভারপুল দেখছি। কলকাতার ম্যাচ দেখে এসে ওটা পানসে লাগছে রীতিমতো।” এ দিন লিগে ম্যাচ জিতলেই আর্থিক প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়। জয়োৎসবের মধ্যে বিকেলে জুনিয়র মাল্য ক্লাব ঘুরে দেখেন। মোহনবাগান লাখ লোকের এই ম্যাচ থেকে কত লাভ করল? অর্থ সচিব বললেন, “সব হিসেব এখনও আসেনি। তবে আশা করি, ৩৫-৪০ লাখ টাকা এ ম্যাচ থেকে পাব। গত পাঁচ বছরে কিন্তু সব ম্যাচ মিলিয়ে আই এফ এর কাছে পাঁচ লাখ টাকাও পাইনি।”
উল্টো দিকে ইস্টবেঙ্গলে হতাশার ছবি। মর্গ্যান এ দিন ছুটি দিয়েছিলেন ছাত্রদের। আজ যুবভারতীতে প্র্যাক্টিস করেই মাঠ থেকেই বিমানবন্দরে চলে যাবেন গাও-টোলগেরা। হ্যালের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে খেলতে।হ্যালের বিরুদ্ধে টিমে ঢুকবেন টোলগে। ফলে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রবিন্দরের।
বিশ্রামের সোমবার বাড়িতেই কাটালেন অধিনায়ক সঞ্জু প্রধান। জানালেন, ম্যাচ হেরে তাঁরা হতাশ ঠিকই, তবে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি। সঞ্জুর কথায়, “রবিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সবাই ভাল খেলেছে। ডিফেন্স থেকে ফরোয়ার্ড সব জায়গাতেই। তাই কোচকে কাউকে চাঙ্গা করার দরকার পড়েনি।” গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্যও এই ব্যাপারে একমত। তাঁর বক্তব্য, “ড্রেসিংরুমে তো কাউকে দোষারোপের জায়গা ছিল না। সবার পারফরম্যান্স যা ছিল সেখান থেকে তিন পয়েন্ট না পাওয়াটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।”
তবে অন্য সবার থেকে একটু আলাদা সুরে সঞ্জু মানতে চাইলেন না, টোলগে-মেহতাবের অভাবেই হার। বলছিলেন, “মেহতাব আর টোলগে খেললেও দল ভাল খেলত কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ওদের ছাড়াই এত সুযোগ আমরা পেয়েছি যে সেই অজুহাতের কোনও মানে হয় না।” মেহতাব হোসেন, সন্দীপ নন্দী দু’জনেই বলছিলেন, “বড় ম্যাচে সংগ্রামের গোলকিপিং দক্ষতা একটা ফ্যাক্টর হয়ে গেছে। ও অনেক অভিজ্ঞ।” একই কথা মেনে নিলেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। “ও বরাবর মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ভাল খেলে।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.