বড় ম্যাচের বিতর্কিত রেফারি প্রতাপ সিংহের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলা দু’ভাগ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু এ আই এফ এফ তাঁর পাশেই দাঁড়াল। পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রতাপকে বিশাল সার্টিফিকেট দিলেন এ আই এফ এফ রেফারি বিভাগের প্রধান গৌতম কর।
সদ্য এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ম্যাচ কমিশনার হওয়ার বিরল নজির গড়েছেন গৌতম। তাঁর কথায়, “রেফারিং এক্সেলেন্ট। পেনাল্টির সিদ্ধান্তও দুর্দান্ত।” মাদুরাইতে এ এফ সি ইনস্ট্রাক্টরদের সভায় গৌতমের সঙ্গে ম্যাচটা টিভিতে দেখছিলেন বিশ্বকাপ খেলানো রেফারি কমলেশ্বরণ শঙ্কর। মাদুরাই থেকে গৌতম বললেন, “শঙ্করের সঙ্গে অনেক নামী রেফারি ছিলেন সেখানে। সবাই একমত, প্রতাপ পেনাল্টি নিয়ে দারুণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
|
আই লিগে চার্চিলের বিরুদ্ধে ম্যাচে ন্যায্য গোল বাতিল হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। সেই অপরাধে সহকারী রেফারি মাঘো সিংহকে ঠাণ্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেয় এ আই এফ এফ। তখন গৌতমরা মাঘোর দোষ ধরেছিলেন। এ বার কিন্তু স্পষ্টতই তাঁরা রেফারির দিকে। প্রসঙ্গত, ফেডারেশন কাপে ইস্টবেঙ্গল-ডেম্পো ম্যাচে এই প্রতাপ সিংহ দুটি বিতকির্ত সিদ্ধান্ত দেন লাল হলুদের পক্ষে। অফসাইড গোল এবং পেনাল্টির দাবি বাতিল। তখনও ডেম্পোর অভিযোগ খারিজ করে দেয় এ আই এফ এফ।
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এ দিন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রতাপের বিরুদ্ধে তিন দফা অভিযোগ পেশ করবেন।
১) সুনীলকে মারার পেনাল্টি সঠিক ছিল না।
২) গাওকে মারা সত্ত্বেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি।
৩) আড়াই মিনিট কম খেলানো হয়েছে।
ফেডারেশন রেফারি বিভাগের প্রধান গৌতম কিন্তু অ্যালান গাওকে ট্যাকল করার প্রশ্নেও রেফারির পাশে। বললেন, “মাদুরাইয়ে খেলা দেখতে দেখতে সব রেফারিই বলছিল, গাও ডাইভ দিয়েছে। হলুদ কার্ডটা এখনই দেখানো উচিত।”
রেফারি প্রতাপ সিংহ। |
রেফারিং নিয়ে দুই প্রধানের চাপানউতোর চলছেই। ইস্টবেঙ্গলের তিন দফা অভিযোগ জানিয়ে লাল হলুদ সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, “রেফারির বোধহয় লাল হলুদে অ্যালার্জি রয়েছে। যে কারণে সাদা জার্সি পরতে হয়েছিল।” ইস্টবেঙ্গলের ব্যঙ্গ নিয়ে মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রের প্রতিক্রিয়া, “ফেডারেশন কাপ পর্যন্ত ওরা নানা সুবিধে পেয়েছিল রেফারির কাছে। তাই রেফারি ভগবান ছিলেন। এখন শয়তান হয়ে গেলেন? আমরাই বরং বিদেশি রেফারি নিয়ে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়েছি।”
নতুন নিয়মে সংগঠক মোহনবাগান রেফারিদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল। ইস্টবেঙ্গল সচিব কটাক্ষ করেন, “রেফারিরা আতিথেয়তার সৌজন্য দেখিয়েছেন।” রেফারি প্রধান কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “গোটা বিশ্বে আয়োজক ক্লাবই রেফারিদের সব ব্যবস্থা করে। এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অনেক ম্যাচ করেছি। সব জায়গায় ক্লাবই আমাদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা করে, হোটেলে নিয়ে যায়। বিমানবন্দরে ছেড়েও যায় বাড়ি ফেরার সময়। এটাই নিয়ম। রেফারিদের সব অভিযোগের ঊর্ধে রাখা উচিত।” |