|
|
|
|
মহামিছিলের ডাক জেলা তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর শহরে মহামিছিলের ডাক দিল তৃণমূল। কাল, বুধবার দুপুরে এই মিছিল হবে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কর্মী-সমর্থকেরা শহরে এসে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। মহামিছিলের সমর্থনে ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই কর্মসূচি।” পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েই জঙ্গলমহল। যেখানে ফের মাওবাদীদের প্রভাব বাড়ছে বলে পুলিশের দাবি। রাজ্যে পালাবদলের পর জেলার এই অংশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু, পরে ফের অশান্তির আবহ দেখা দেয়। গত এক মাসে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাওবাদী পোস্টার, অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। মাওবাদীদের রোষের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। ফলে, জঙ্গলমহল এলাকার একাংশ দলীয় কর্মী-সমর্থক ফের সন্ত্রস্ত। আগে সিপিএমকে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল, এখন তৃণমূলকে সেই একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতেই রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, জামবনি, শালবনি, গোয়ালতোড়, বেলপাহাড়ি-র মতো এলাকায় মিটিং-মিছিল সংগঠিত করা হয়েছে। এ বার জেলার সদর শহরে মহামিছিল করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “জেলার একাংশে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করার চক্রান্ত চললেও মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছেন। বুধবারের মিছিলই প্রমাণ করে দেবে, মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। তাঁদের ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না।” দলীয় সূত্রে খবর, ২৬ সেপ্টেম্বর ধেড়ুয়া থেকে ধরমপুর পর্যন্তও মিছিল করবে তৃণমূল। ডিসেম্বরের শেষে অথবা নতুন বছরের শুরুতে মেদিনীপুর শহরে সমাবেশেরও পরিকল্পনা রয়েছে। ক’দিন আগেই বিভিন্ন দাবিতে শহরে মহামিছিল করে বামফ্রন্ট। যে মিছিলে বেশ ভালই জমায়েত হয়েছিল। দলের এক সূত্র জানাচ্ছে, বুধবারের মিছিল তারই পাল্টা কর্মসূচি। জয়ী তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের খাঁপুর-গাঙচা হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল-সমর্থিতরা। শনিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু তৃণমূল ছাড়া আর অন্য কোনও দলের সমর্থকরাই মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় স্কুলটির দখল নেয় তৃণমূল। |
|
|
|
|
|