কলকাতা থেকে ‘অপহৃত’ হুগলির রিষড়ার এক যুবককে আহত অবস্থায় পাওয়া গেল ওড়িশার শিল্পনগরী রৌরকেলার রাস্তায়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন রিষড়ার লক্ষ্মীপল্লির বাসিন্দা বছর বাইশের অমিত সিখওয়ান। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পড়ুয়া ওই যুবকের দাবি, ওই দিন তিনি মোবাইল সারানোর জন্য কলকাতার চাঁদনি চকে এসেছিলেন। সেই সময়েই তিন যুবক তাঁকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। অমিতের কথায়, “আমাকে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়েছিল। চোখ খুলতে বুঝতে পারি ওড়িশায় রয়েছি।” অমিত জানান, রৌরকেলার অঙ্গুল এলাকার একটি বাড়িতে তাঁকে রাখা হয়েছিল। ব্লেড দিয়ে হাত, গলা, বুক কেটে দেওয়া হয়। ৩-৪টি ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। ‘অপহরণ’কারীরা হিন্দিতে কথা বলছিল। রবিবার বিকেলে জাতীয় সড়কের ধারে তাঁকে তারা ফেলে দিয়ে যায়। এক বিদেশির সহায়তায় তিনি হাসপাতালে পৌঁছন। খবর পেয়ে রৌরকেলা প্ল্যান্ট সাইট থানা তদন্ত শুরু করেছে। |
তবে, কেন তাঁকে ‘অপহরণ’ করা হল, তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেনি অমিত। তাঁর বাড়িতেও এই নিয়ে মুক্তিপণ চেয়ে বা অন্য কোনও দাবি জানিয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি। অমিতই জানিয়েছে, তাঁর মানিব্যাগে থাকা কয়েকশো টাকা ‘অপহরণ’কারীরা ছিনিয়ে নেয়। তবে, মোবাইল ফোনটি নেয়নি। অমিতের বাবা ওমপ্রকাশবাবু ব্যবসায়ী। কলকাতার বড়বাজারে তাঁর পরিবহণ সংস্থার ব্যবসা রয়েছে। রৌরকেলা পুলিশের কাছে খবর পেয়ে সোমবার তিনি সেখানের উদ্দেশে রওনা হন।
পুলিশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ধন্ধে পড়েছে। প্ল্যান্ট সাইট থানার আইসি অরুণ কুমার সোয়াইঁ বলেন,“অপহরণের নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য এখানে বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের কাছেও স্পষ্ট নয়, ঠিক কী ঘটেছিল। ছেলেটির কথার উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে যেহেতু হুগলির রিষড়া থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত ডায়েরি হয়েছিল। আমরা পুরো বিষয়টি ওই থানায় জানিয়ে দিচ্ছি।” |