দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের দোগাছি উদ্যোনটিকে ‘ডিয়ার পার্ক’ হিসেবে গড়ে তুলবে বন দফতর। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে পাশাপাশি বালুরঘাট, হিলি ও কুমারগঞ্জ এলাকায় পরিত্যক্ত উদ্যানগুলিকে সাজার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সোমবার বালুরঘাট সার্কিট হাউসে কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীকে নিয়ে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বিভাগীয় বনাধিকারিক, রেঞ্জ ও বিট অফিসারদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। কারামন্ত্রীর কাছে পর পর প্রস্তাব নিয়ে বনমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রকল্প তৈরি করে দ্রুত বনবিভাগে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বন দফতরের পদস্থ অফিসাররা। কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “বন দফতরের অধীন বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকায় দোগাছি ফরেস্টটি পিকনিক স্পট হিসাবে চিহ্নিত। |
দোগাছি উদ্যানে বনমন্ত্রী। ছবি: অমিত মোহান্ত। |
চারদিক পরিখা দিয়ে ঘেরা উদ্যানটিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা ও সেতু তৈরির পাশাপাশি ডিয়ারপার্ক তৈরি করে শিশুদের মনোরঞ্জনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাম আমলে তৈরি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বালুরঘাটের হোসেনপুরে আরণ্যক শিশু উদ্যান, শহরের সালবাগানের উদ্যান ও হিলির সারণবাড়ি ফরেস্টের উন্নয়নের পরিকল্পনা হয়েছে। পাশাপাশি কুমারগঞ্জের আঙ্গিনায় পরিযায়ী পাখিদের আকর্ষণ বাড়াতে পাখিরালয় গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।” বনমন্ত্রী হিতেনবাবু এ দিন কারামন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দোগাছি ফরেস্ট ও পঞ্চায়েতের অধিন্যস্ত আরণ্যক শিশু উদ্যানটি ঘুরে দেখেন। বনমন্ত্রী বলেন, “পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের জমিতে গড়ে ওঠা পরিত্যক্ত উদ্যানগুলি বনদফতরকে লিজ দেওয়ার ব্যবস্থা হলে কাজের সুবিধা হবে।” তার বক্তব্য “২০১২ সালে রাজ্যের পর্যটন ও বন উদ্যান উন্নতি প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল নামে এক সংস্থা থেকে রাজ্য ৪০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতেও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে উত্তরবঙ্গ পর্যটন দফতর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বিভাগ ও বনদফতর একযোগে এই কাজ করবে।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভাগের পর ১৯৯২ সাল থেকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ফরেস্ট ডিভিশনের অধীনে থাকায় কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে জেনে বনমন্ত্রী বলেন, “বন বিভাগের আলদা ডিভিশন হবে বালুরঘাটে।” আগামী বাজেটে এই প্রস্তাব রাখা হবে। |