প্রতারণায় অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
বিএড, এমএড-সহ বিভিন্ন ডিগ্রি দেওয়ার নাম করে ছাত্রছাত্রীদের প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমানের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বর্ধমানের নবাবহাটের ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী সোমবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সরোদ দ্বিবেদীর কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “প্রতারণার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অভিজিৎ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাকি কর্তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
অতিরিক্ত জেলাশাসকের অফিসে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র
এ দিনের বিক্ষোভে হাজির থাকা হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা অমর্ত্যা পাঁজা বলেন, “তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত বলে এই প্রতিষ্ঠানটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়। বিএড পাঠ্যক্রমের জন্য আমি প্রথমে কুড়ি হাজার টাকা জমা দিই। পরে আমার কাছ থেকে ফের ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তিন বছর ধরে এমন ভাবে প্রায় ৬০০ ছাত্রীকে বিএড, এমএড এবং নার্সিং ডিগ্রি দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা নিয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান।” পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে আসা শঙ্কর দাসের কথায়, “আমাদের আগের বছরের ছাত্রদের বিএড পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়া হলেও কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। তা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। শংসাপত্রের অভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসতে পারবেন না জেনে গত বছরের ওই ছাত্রছাত্রীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অভিজিৎ সাহার কাছে অবিলম্বে তা দেওয়ার দাবি জানান। তা নিয়ে বচসা বাধায় ছাত্রছাত্রীরা বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে দেখা করেন।” এর পরেই ওই অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা বর্ণালী বাগ বলেন, “আমার কাছ থেকেও প্রথমে কুড়ি হাজার টাকা নেওয়ার পরে ফের ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ দেওয়া হয়। পরে জানতে পারি, কোনও অনুমোদন ছাড়াই ওই প্রতিষ্ঠান তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে এসেছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তিন বছর আগে বর্ধমানের নবাবহাটের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়। বিএড, এমএড, ব্যাচেলার অফ নার্সিং ইত্যাদি ডিগ্রি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বর্ধমান ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হন। স্থানীয় কৃষ্ণপুর হাইস্কুল ভাড়া নিয়ে রবিবার এই প্রতিষ্ঠানের ক্লাস হত। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের যে কার্যত কোনও অনুমোদন নেই, সে খবর তাদের কাছে ছিল। জাল রসিদ দিয়ে টাকা জমা নেওয়া হত। কিন্তু কোনও পড়ুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ না করায় কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছেও এসেছিলেন। তাঁরা তাঁদের জমা দেওয়া টাকা ফেরতের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন। আমরা আপাতত ওই প্রতিষ্ঠানের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘সিল’ করিয়েছি। আদালত নির্দেশ দিলে ওই অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ছাত্রছাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.