|
|
|
|
সালানপুর |
আস্থা ভোটে হার পঞ্চায়েত প্রধানের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
আস্থা ভোটে হেরে গেলেন সালানপুর ব্লকের কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট পরিচালিত এথোড়া পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের সুভাষ পুইতন্ডী। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পঞ্চায়েতের তিন সদস্য। এদের মধ্যে এক জন তৃণমূলের। বাকি দু’জন কংগ্রেসের। সালানপুরের বিডিও জয়দীপ দাস জানান, সোমবার ভোটভুটি হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেয়ে তিনি পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
সালানপুর ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ অক্টোবর সুভাষবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তাঁর দলের দুই সদস্য গোবিন্দ ধীবর ও সুমিত্রা টুডু এবং তৃণমূলের বৈদ্যনাথ মণ্ডল। সালানপুরের বিডিও জয়দীপবাবু জানান, সোমবার ভোটাভুটি হয়। তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়ে পঞ্চায়েতে হাজির হন অনাস্থায় স্বাক্ষরকারী তিন সদস্য। প্রধান-সহ আরও এক কংগ্রেস সদস্য লক্ষ্মী ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন না। এর পরে আর আলোচনা হয়নি। অনাস্থার বিরুদ্ধে এক তরফা সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিডিও বলেন, “আমি যে পরিদর্শককে নিয়োগ করেছিলাম তাঁর কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়ে পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।” সুভাষবাবু বলেন, “অনাস্থা ডাকার পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকায় এর বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে মামলা করেছি। তাই এ দিনের সভায় উপস্থিত হইনি। আমাকে যদি বিডিও দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলেন তবে অবশ্যই বুঝিয়ে দেব। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি পথেও যাব।”
অনাস্থায় স্বাক্ষরকারীদের পক্ষে তৃণমূলের বৈদ্যনাথ মণ্ডল জানান, তাঁরা সুভাষবাবুর কাজকর্মে বিরক্ত। তাঁদের অভিযাগ, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের সিদ্ধান্ত সুভাষবাবু একাই নিচ্ছেন। যার ফলে উন্নয়ন ঠিকমতো এগোয়নি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুভাষবাবু। তাঁর পাল্টা দাবি, অনেক অন্যায় কাজ বাধা দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এথোড়া পঞ্চায়েতে মোট আসন ৫টি। এর মধ্যে চারটিতেই জিতেছে কংগ্রেস। একটি রয়েছে তৃণমূলের দখলে। তৃণমূলের বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা পাপু উপাধ্যায় জানান, পঞ্চায়েতটি দখল করার পর থেকেই প্রধান তৃণমূল অধ্যুষিত এলাকাকে উন্নয়নের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দুই পঞ্চায়েত সদস্যের অনাস্থা আনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটির সদস্য শ্যামল মজুমদার বলেন, “এটা দুভার্গ্যের বিষয়। কোনও ক্ষোভ থাকলে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।” |
|
|
|
|
|