|
|
|
|
কুলটি |
মামলা তুলল পুরসভা, কাটল জলপ্রকল্পের জট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
জল প্রকল্প নিয়ে এডিডিএ-র বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন কুলটি পুর কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই প্রকল্পের আইনি জটিলতা কাটল। মাসখানেকের মধ্যে দরপত্র ডেকে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বছর পাঁচেক আগে কুলটিতে জল প্রকল্প গড়ার অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে ১৩৩ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছিল। নোডাল এজেন্ট করা হয় এডিডিএ-কে। কিন্তু প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তৎকালীন বাম পরিচালিত এডিডিএ কর্তৃপক্ষ ও কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পরিচালিত কুলটি পুর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।
তৎকালীন এডিডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, নোডাল এজেন্ট হিসেবে দরপত্র ডাকা থেকে সমস্ত কাজ তারাই করবে। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড আপত্তি জানায়। তাদের দাবি ছিল, প্রকল্পটি যেহেতু পুরসভার নিজস্ব তাই কাজ তারাই করবে। এর পরে সংঘাত গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। হাইকোর্টের রায় যায় এডিডিএ-র পক্ষে। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কুলটি পুরসভা। সেই থেকেই থমকে রয়েছে এই প্রকল্প।
রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার পরে এডিডিএ-র ক্ষমতায় গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোল পুরসভার মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই এডিডিএ ও কুলটি পুরসভার তরফে জল প্রকল্প নিয়ে জট কাটানোর উদ্যোগ হয়। উপপ্রধান বাচ্চু রায় বলেন, “১১ নভেম্বর আমরা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এডিডিএ-র বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। দরপত্র ডাকার জন্য কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-কে সমস্ত কাগজপত্র জমা করেছি। এক মাসের মধ্যে দরপত্র ডেকে প্রকল্প গড়ার কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।”
এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপসবাবু জানান, এর আগে কেএমডিএ, কুলটি পুরসভা ও এডিডিএ-র মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকের পৌরহিত্য করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ববি হাকিম। সেখানে ঠিক হয়েছে, প্রকল্পটি গড়বে কেএমডিএ। দেখভাল করবে এডিডিএ এবং পুরসভা। বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। তাপসবাবু বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের হলফনামা জমা পড়েছে। আর কোনও আইনি জটিলতা নেই।”
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৩টি জলাধার-সহ প্রায় ২৯০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে থাকা এলাকায় পাইপ লাইন যাবে। ২০৪৬ সাল পর্যন্ত বাসিন্দারা এই প্রকল্পের সুফল পাবেন। কুলটির ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ বাসিন্দা এখন আশায় বুক বাঁধছেন, ১৩৩ কোটি টাকার এই প্রকল্প তাঁদের পানীয় জলের সমস্যা থেকে মুক্ত করবে। |
|
|
|
|
|