|
|
|
|
শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী রাজ্য, আশ্বাস স্থায়ী কমিটির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে উর্দু মাধ্যমের শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান বিধানসভার সংখ্যালঘু বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ। এদিন তাঁর নেতৃত্বে স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলাশাসক পাশাং নরবু ভুটিয়া, সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার, চাকুলিয়ার বিধায়ক ইমরাম আলি রমজ, পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরের মহকুমাশাসক অদিতি দাশগুপ্ত ও পার্থ ঘোষ-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে সংখ্যালঘু বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “ইসলামপুর মহকুমার বেশির বাগ স্কুলে উর্দূ মাধ্যমের পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। স্কুলগুলিতে বাংলা মাধ্যমের একাধিক শিক্ষক থাকলেও উর্দু মাধ্যমের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই জন্যই রাজ্য সরকার ওই স্কুলগুলিতে দ্রুত উর্দু মাধ্যমের শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে।” তিনি জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ওই স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। কোন স্কুলে কতজন শিক্ষক প্রয়োজন সেই ব্যাপারে জেলা স্কুল পরিদর্শককে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সংখ্যালঘু বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের অভিযোগ, পূর্বতন রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার অভাব ও ধারাবহিক ব্যর্থতার জেরে জেলায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ শেষ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, “আগের রাজ্য সরকারের গাফিলতির জেরে ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ আর্থিক বছরে সংখ্যালঘু খাতে কেন্দ্রের বরাদ্দ সিংহভাগ টাকা জেলা প্রশাসন খরচ করতে পারেনি। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট বেহাল, জল ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও অপ্রতুল। সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজ হয় এমন সমস্ত দফতরেও কর্মীর অভাব রয়েছে এই জেলায়।” তিনি জানান, রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য পৃথক একটি দফতর খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলাকে ইতিমধ্যেই ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম কিস্তির ৩৬ লক্ষ টাকা জেলা প্রশাসনের হাতে পৌঁছেছে। ওই দফতরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকবে জেলাশাসকের হাতেই। জেলার কতজন সংখ্যালঘু মানুষ কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছেন তার তালিকাও ওই দফতরকে তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংখ্যালঘু বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জানান। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের বৃত্তিমূলক কাজের ব্যাপারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও হচ্ছে। |
|
|
|
|
|