|
|
|
|
অনাস্থায় অপসারিত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অনাস্থায় হেরে অপসারিত হলেন রতুয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভাপতি আরজাউল হক। বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোট হয়। গত বছরই পঞ্চায়েত সমিতির দলীয় সভাপতি মহম্মদ হেসামুদ্দিন অনাস্থায় হেরে অপসারিত হওয়ার পর সভাপতি হন তিনি। সেই অপসারিত সভাপতি মহম্মদ হেসামুদ্দিন গোষ্ঠীর কাছেই ১৫-১৪ ভোটে হেরে যান তিনি। সভাপতির পদকে কেন্দ্র করে রতুয়ায় শুধু কংগ্রেসেরই নয়, বামেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে। একমাস ধরে দুই গোষ্ঠীর অনাস্থার জেরে টানটান উত্তেজনা ছিল রতুয়ায়। ৯ বাম সদস্যের ২ জন যোগ দেন অপসারিত সভাপতির পক্ষে। ৭ জন যোগ দেন মহম্মদ হেসামুদ্দিনের পক্ষে। দুই গোষ্ঠীর সদস্যরাই এক মাস পৃথক শিবিরে ছিলেন। এ দিনের অনাস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে না দেখে অবশ্য সভায় হাজিরই হননি। অপসারিত সভাপতি ও তার গোষ্ঠীর সদস্যরা। চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক অশোক সরকার বলেছেন, “বর্তমান সভাপতি অনাস্থায় হেরে অপসারিত হয়েছেন! পঞ্চায়েত আইন মেনে শীঘ্রই ওখানে নতুন সভাপতি গঠন করা হবে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, ২৯ আসনের পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেসের-১৯ টি, সিপিএমের-৭ টি, আরএসপির-২ টি ও একজন নির্দল সদস্য। নির্দল সদস্য আগেই কংগ্রেসে যোগ দেন। পঞ্চায়েত ভোটের পর সভাপতি হন মহম্মদ হেসামুদ্দিন! গত বছরই প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অনাস্থায় হেরে অপসারিত নন তিনি। তাঁর জায়গায় সভাপতি হন আরজাউল হক। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কৃতও হন তিনি। এ ধরনের দলীয় নির্দেশ তিনি পাননি জানিয়ে কংগ্রেসেই রয়েছেন বলে দাবি করেছেন মহম্মদ হেসামুদ্দিন। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসে রয়েছি। অন্যায় ভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমাকে সরানো হয়েছিল। বামেরা স্বেচ্ছায় সমর্থন করেছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত আইনে এক বার অনাস্থা হলে এক বছরের আগে আর তা আনা যায় না। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থার এক বছর পার হতেই ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেন মহম্মদ হেসামুদ্দিন! তিনি অনাস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানতে পেরে সভাপতি গোষ্ঠীর শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রেজাউল হক সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার অনাস্থা পেশ করে বসেন। পরদিনই মহম্মদ হেসামুদ্দিনের নেতৃত্বে সভাপতির অপসারণ চেয়ে অনাস্থার আবেদন জানানো হয়। দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন ছিল অনাস্থার সভা। অনাস্থায় ১৫ সদস্যের মধ্যে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের ৮ জন, সিপিএমের ৫ জন ও আরএসপির ২ জন। রতুয়ায় কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অবশ্য মেনে নিয়েছেন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, “বহিষ্কৃত হেসামুদ্দিনের পক্ষ না নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা মানেননি। ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।” সিপিএমের রতুয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক সুশান্ত সিংহ বলেন, “দলে আলোচনা করে ব্যবস্থা হবে।” |
|
|
|
|
|