দুল নিতে অপহরণ, শ্বাসরোধ করে বালিকাকে খুন
কজোড়া সোনার কানের দুলের জন্য তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মালদহের কালিয়াচক থানার জালালপুরের শাবদানগর গ্রামেরই একটি পুকুর থেকে ওই ছাত্রীর বস্তাবন্দি দেহ পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর নাম হাবিবা খাতুন (৯)। রাতে জলসা থেকে ফেরার সময়ে প্রতিবেশী যুবক হাবিবাকে অপহরণ করে সোনার দুল খুলে নেয়। এর পরে শ্বাসরোধ করে হাবিবাকে খুন করার পরে শ্বাসরোধ করে পুকুরে বস্তাবন্দি দেহ ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।
এ দিন ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পরে উত্তেজিত বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুরের পরে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে গ্রামে গেলে বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান। আমিনুল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “সামান্য কানের দুল নেওয়ার জন্য ৯ বছরের ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক। কান ছিঁড়ে সোনার দুল নেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে ধরা পড়ার আশঙ্কায় ওই ছাত্রীকে খুন করে জলে ফেলে দিয়েছিল সে। অভিযুক্ত আমিনুল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শবদানগর গ্রামের হাফিজুদ্দিনটোলায় কয়েকদিন ধরে ধর্মীয় জলসা চলছে। ছোট ভাই ওয়াদুরকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার বিকেলে হাবিবা ওই জলসা শুনতে গিয়েছিল। জলসা শুনে সন্ধ্যাবেলা ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় মাঝরাস্তা থেকে আমিনুল হাবিবাকে তুলে নিয়ে যায়। মৃত ছাত্রীর বাবা সাদেক শেখ বলেন, “বাড়িতে একা ফিরতে দেখে আমার স্ত্রী ছোট ছেলের কাছে হাবিবার খোঁজ নেন। তখন জানা যায়, আমিনুল আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। অনেক রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজির পরেও মেয়েকে পাওয়া যায়নি। তখন গ্রামবাসীরা আমিনুলকে গিয়ে ধরেন। গ্রামবাসীদের কাছে সে স্বীকার করে, মেয়ের কানের দুল ছিঁড়ে নিয়ে খুন করে গ্রামের পুকুরে ফেলে দিয়েছে।” মৃত ছাত্রীর ভাই ওয়াদুর শেখ বলে, “দিদির সঙ্গে জলসা দেখে বাড়ি ফিরছিলাম। মাঝ রাস্তায় আমিনুল আমাদের রাস্তা আটকে দিদিকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। চিৎকার করেও দিদিকে বাঁচাতে পারিনি।”
আমিনুলের কথা মতো রাতেই গ্রামের লোকেরা পুকুরে নেমে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ খুঁজতে শুরু করেন। ভোর তিনটে নাগাদ গ্রামবাসীরা পুকুরের মধ্যে থেকে বস্তাবন্দি ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। সকাল হতেই গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত আমিনুলের বাড়িতে চড়াও হয়। হামলার হাত থেকে বাঁচতে অভিযুক্ত ও তাঁর পরিবারের লোকেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। অভিযুক্তকে না পেয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা তার বাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুধু সোনার দুল ছিনতাই নয়, অভিযুক্ত যুবক ওই ছাত্রীকে ধষর্ণও করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, ময়নাতদন্তেই জানা যাবে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.