উড়ান চালাতে আর্জি রাজ্যকে
ড়ান চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়ে যাওয়ায় কোচবিহারে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। এই ব্যাপারে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জোট শরিক কংগ্রেসের কোচবিহারের নেতারাও নিয়মিত উড়ান চালু নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের তৎপরতার দাবি তুলেছেন। উদ্বিগ্ন জেলার ব্যবসায়ী মহল বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চাইছে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, বিকল্প সংস্থার সঙ্গে কথা বলে কোচবিহার-কলকাতা উড়ান চালু নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা-কোচবিহার রুটে বাণিজ্যিক ভাবে উড়ান চালুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নর্থ ইস্ট শাটল নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে এ জন্য দৈনিক ৮টি আসনের ভাড়া ভরতুকি দেওয়ার ব্যাপারেও চুক্তি করে রাজ্য সরকার। তার পরেও হাতেগোনা কয়েকদিন চালুর পরে বন্ধ রয়েছে বিমান পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার শাটল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উড়ান চুক্তি বাতিল করতে পারে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বেণুবাদল চক্রবর্তী বলেন, “উড়ান পরিষেবা ঘটা করে উদ্বোধনের কয়েক মাসের মধ্যে অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় আমরা হতাশ। এতে জেলার শিল্প সম্ভাবনাও দুর্বল হবে। রাজ্য সরকার চমকের রাজনীতি না-করে ধীরেসুস্থে পদক্ষেপ নিলে এমন হত না।”
নিজস্ব চিত্র

ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহারের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “তিন চার দিন উড়ানের পরে যদি চুক্তি বাতিল করতে হয় তাহলে সেটা কেমন চুক্তি বোঝাই যাচ্ছে। আমাদের মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত ইমেজ বাড়াতে কোনও সংস্থাকে জোর করে রাজি করানো হয়েছিল।” কোচবিহারের জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “কোনও সংস্থা কী করল সেটা মানুষ বুঝবেন না। রাজ্য সরকারকে নিয়মিত উড়ানের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার তো ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে।” বিজেপি’র জেলা সম্পাদক নিখিল দে বলেন, “উড়ান চুক্তিই ছিল লোকদেখানো। সেই জন্যই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “শাটল কর্তৃপক্ষ সূচি মেনে উড়ান না চালানোয় মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি বিকল্প কোনও সংস্থার মাধ্যমে ফের পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য। আশা করছি, সমস্যা মিটবে।” কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজেন বৈদ্য বলেন, “কে চালাবে না চালাবে সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমরা মনে করি, কেন্দ্রীয় সরকার ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সকে কাজে লাগালেই সমস্যা মিটবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়ে চিঠি দেব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.