|
|
|
|
৩ ধৃত ফের পুলিশ হেফাজতে মিলল দু’টি গ্যারাজের সন্ধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রতারণা মামলায় ফেরার এক ব্যক্তির নামে হিলকার্ট রোডে ১০ লক্ষ টাকায় কেনা দুটি গ্যারাজের সন্ধান পেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই দুটি গ্যারাজের মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র পুলিশের হাতে পৌঁছয়। পুলিশের সন্দেহ, এই ফেরার ব্যক্তিও মুম্বইয়ের ওই সংস্থায় অন্যদের লগ্নি করানো বাবদ আয় করা কমিশনের টাকায় ওই দুটি গ্যারাজ কিনেছিলেন। পুলিশ ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে নেমেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাসে ওই ব্যক্তির নামে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের এবং মামলা চালু হওয়ার পরেই তিনি সপরিবারে ফেরার হয়ে যান। শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ায় ওই ব্যক্তির নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেটি এখন তালাবন্ধ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আদতে ধূপগুড়ির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি একটি বহুজাতিক সংস্থার পণ্য বিক্রির ব্যবসা সূত্রে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি একাধিক লগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মুম্বইয়ের ওই সংস্থার হয়ে লগ্নি ব্যবসায় নেমে বহু লক্ষ টাকা আয় করেন বলে পুলিশের অভিযোগ। এই ব্যবসায় জীবন বিমা নিগমের কর্মী রাজীব ভদ্র, বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী রণবীর দাস এবং দেবব্রত পালকে গ্রেফতার করার পরেই পুলিশ আশ্রমপাড়ার ওই ফেরার বাসিন্দার খোঁজে নামে। তখনই হিলকার্ট রোডে ওই দুটি গ্যারাজের সন্ধান মেলে। এদিন মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র মেলে। মামলার এক তদন্তকারী অফিসার জানান, দ্রুত অভিযুক্তের গ্যারাজ মালিকানা সংক্রান্ত নথি আদালতে পেশ করা হবে। আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই দুটি গ্যারাজ বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন জেলার পুলিশ আধিকারিকেরা। এদিকে, এদিন অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে রাজীব ভদ্র, রণবীর দাস এবং দেবব্রত পালকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক সন্তোষ পাঠক ধৃতদের চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দেন। পাশাপাশি, রণবীর দাসের স্ত্রী দেবলীনা দেবীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনও মঞ্জুর করেন। পুলিশের দাবি, রাজীব ভদ্র যে মুম্বইয়ের ওই সংস্থার হয়ে টাকা লেনদেন করতেন সেটা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি থেকে স্পষ্ট হয়েছে। রণবীরের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা লেনদেনের নথি মিলেছে। সরকারি আইনজীবী রণজিৎ সাহা বলেন, “ব্যাঙ্কে ধৃতদের লেনদেন সম্পর্কে আরও জেরা করা দরকার। সেই জন্যই এদিন আদালতে পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।” পুলিশের দাবি, কয়েক মাসে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে মুম্বইয়ের ওই সংস্থাটি শিলিগুড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই কাজে মুম্বইয়ের ওই সংস্থাকে কমিশনের বিনিময়ে রাজীব ভদ্র, রণবীর দাস, দেবব্রত পাল, আশ্রমপাড়ার ওই ফেরার বাসিন্দা ছাড়াও শিলিগুড়ির অবসরপ্রাপ্ত এক কলেজ শিক্ষকও সাহায্য করেন বলে সন্দেহ পুলিশের। জেরার সময়ে ধৃতদের এই ব্যাপারেও জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|