|
|
|
|
বেহাল বাইপাস সংস্কারের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তাটি। শিলিগুড়ি পুরসভার পথকুকুর নির্বীজকরণ কেন্দ্রের সামনে ইস্টার্ন বাইপাসের কিছু অংশ। পিচের চাদর উঠে গিয়ে রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে অতিকায় গর্ত। বর্ষায় তা কার্যত ডোবায় পরিণত হয়। শহর এড়িয়ে যাতায়াতকারী পুরসভার ময়লা ফেলার গাড়ি থেকে পণ্যবাহী বড় বড় ট্রাক-সবই দিনভর এই রাস্তায় চলাচল করে। লাগোয়া এলাকায় একাধিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশও এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। রাস্তা মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সকলকেই। রাস্তার বেহাল পরিস্থিতির কারণে যে কোনও সময় বড় অঘটনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত তাঁরা। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেখভালের দায়িত্বে থাকলেও কেন তাঁরা রাস্তাটি সংস্কার করছেন না সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তার যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “রাস্তাটির পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ। দ্রুত যাতে ওই রাস্তা মেরামত করা হয় তা দেখা হচ্ছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র |
কেন এত দিন রাস্তাটি মেরামত হয়নি সে ব্যাপারে অবশ্য তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বিপদের আশঙ্কা করেন গৌরব গিরি, সুশান্ত থাপার মতো স্কুল ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকেরা। হিমালয়ান ইংরেজি স্কুলে পড়েন তাঁরা। ওই রাস্তা দিয়েই সকলকে স্কুলে যেতে হয়। অথচ রাস্তার পরিস্থিতির জন্য স্কুলে পাঠিয়েও দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকেরা। শালুগাড়ার বাসিন্দা কালী ছেত্রী প্রায়ই ওই রাস্তা দিয়ে ফলাবাড়িতে তাঁর মাসির বাড়ি যান। বাইকে চেপে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে তিনিও উদ্বেগে থাকেন। বেকারির ব্যবসা জাহির আলি মির্ধার। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা প্রতিদিনই ফাপড়ি, বোতলবাজার এলাকায় বিস্কুট, রুটি সরবরাহ করতে ভ্যান গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাঁকেও। ওই রাস্তা না পার হওয়া পর্যন্ত কখন ভ্যান গাড়ি নিয়ে উল্টে পড়বেন সেই আতঙ্কে থাকেন তিনি। বেহাল রাস্তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা থেকে গাড়ির চালক, রিকশা চালক বিপাকে পড়তে হচ্ছে সকলকেই। স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ মণ্ডল, অমল কুমাররা জানান, মাসখানেক আগে একটি ট্রাক রাস্তার ওই গর্তে আটকে পড়ে। বহু চেষ্টায় তিন দিন পর ট্রাকটিকে তোলা হয়। রাস্তার বেহাল পরিস্থিতির জন্য এক সঙ্গে অনেক গাড়ি চলে এলে যানজট হয়। রাস্তার জন্যই স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্তত ৬ টি গরু সম্প্রতি গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছে। রাস্তা লাগোয়া পুরসভার সার তৈরির কারখানার পুরকর্মীদের কয়েকজন জানান, খানাখন্দে ভরা রাস্তার জন্য ময়লার গাড়ি যেতে সমস্যা হচ্ছে। দুই-আড়াই ফুট গভীর, প্রায় ২০ ফুট ব্যাসের গর্ত তৈরি হওয়ায় গাড়ি চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। রাস্তা সারাতে কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না দেখে তাঁরাই দিন দশেক আগে মাটি ফেলে রাস্তার একদিকের গর্ত কিছুটা ভরাট করেছেন। তাতে সমস্যা মেটেনি। |
|
|
|
|
|