|
|
|
|
পাহাড়ে পুরভোটে আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পুরভোটে মিরিকের বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে চরম বার্তা দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মিরিক পুরসভার ৯টি আসনে মোর্চার সরকারি প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের ৮ জন বিক্ষুব্ধ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এতেই সমস্যা বেড়েছে দলের নেতাদের। মোর্চা বিরোধী দলগুলি পুরভোট বয়কট করায় দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং পুরসভায় বিনা লড়াইয়ে মোর্চা বোর্ড গঠন করতে চলেছে। একমাত্র মিরিকে বাদ সেধেছে দলীয় কোন্দল। বিভিন্ন স্তর থেকে বোঝানোর পরেও বৃহস্পতিবার অবধি ওই বিক্ষুব্ধরা কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। আজ, শুক্রবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই বিক্ষুব্ধরা লড়াই থেকে সরে না আসলে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ভোটে লড়াই করে জিতলেও তাঁদের আর দলে নেওয়া হবে না বলে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি মিরিকে নিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই মোর্চার তরফে ওই ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং পুরসভার দলের বোর্ড গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। মিরিকে দলের ৮ জন বিক্ষুব্ধ আছেন। আমরা ওঁদের বুঝিয়েছি। সকলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে ভাল। নইলে সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এমনকী, ভোটে দাঁড়িয়ে জিততেও দলে নেওয়া হবে না।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাহাড়ের চারটি পুরসভার ১১ ডিসেম্বর পুরভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে তিনটি পুরসভায় মোর্চা ছাড়া কোনও দল মনোনয়ন জমা দেয়নি। একমাত্র মিরিকে মোর্চা এবং মোর্চার বিক্ষুব্ধরা মনোনয়ন দিয়েছেন। এই অবস্থায় মিরিকের একটি ওয়ার্ডেও ভোট হলে আগামী ১১ ডিসেম্বর অবধি পাহাড়ে কোনও পুরবোর্ড গঠন করা যাবে না। মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর কোনও মনোনয়ন বাতিল হয়নি বলে জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “একটিও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমার পর চারটি পুরসভায় কী অবস্থা তা পরিষ্কার হবে। তবে একটি ওয়ার্ডেও ভোট হলে সব পুরসভার বোর্ড গঠন ১১ ডিসেম্বরের পরে হবে।” নির্বাচনী দফতর সূত্রের খবর, দার্জিলিঙের ৩২টি, কালিম্পঙের ২৩টি এবং কার্শিয়াঙের ২০টি ওয়ার্ডে একমাত্র মোর্চার প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছেন। মিরিকের ৯টি পুর ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকি ছয়টি ওয়ার্ডে ৮ জন বিক্ষুব্ধ প্রার্থী দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। তাই পাহাড়ের চারটি পুরসভাই নিরঙ্কুশভাবে মোর্চার দখলে যাবে কি না তা আজ, শুক্রবার বিকালের পরেই পরিষ্কার হবে।
|
|
|
|
|
|