|
|
|
|
২০০২-এ পুলিশের গুলিতে মৃত দুই শ্রমিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
চাঁদমণিতে উপনগরী গড়ার আগে উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে পুলিশের গুলিতে ২ শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার পরে ৯ বছর কেটে গিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে দুর্নীতির ও পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে নানা সময়ে আন্দোলন করলেও কোনও সাড়া পায়নি একাধিক সংগঠন। এবার রাজ্যে নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পরে নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনগুলি। বিভিন্ন প্রতিবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত যৌথ সংগ্রাম কমিটি বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা ঘোষণা করেছে। কমিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়ে তারা ওই আর্জি জানিয়েছেন। |
 |
ছবি: বিশ্বরূপ বসাক |
বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা। তবে মন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় ২০ নভেম্বরের পর দেখা করবেন বলে তাঁর দফতর থেকে যৌথ সংগ্রাম কমিটির সদস্যদের জানানো হয়। চাঁদমণি চা বাগান উচ্ছেদ বিরোধী যৌথ সংগ্রাম কমিটির অভিযোগ, অন্যায় ভাবে চা বাগানের জমি উচ্ছেদ করে উপনগরী গড়ে তোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চা শ্রমিকেরা অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাননি। তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। সে সময় আন্দোলন করা হলেও সরকার নানাভাবে তার কন্ঠ রোধ করতে সচেষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পর এই নতুন সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে তাঁরা আশাবাদী। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই (এমএল) লিবারেশন নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা অভিজিৎ মজুমদার, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির কর্মকর্তা অভিরঞ্জন ভাদুড়ি, নেসপনের সৌমিত্র ঘোষ, শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের দীপঙ্কর চক্রবর্তী-সহ অনেকেই। যৌথ সংগ্রাম কমিটির অন্যতম তথা সিপিআই (এমএল) লিবারেশন নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “চা বাগান উচ্ছেদ করে, সবুজ ধ্বংস করে সেখানে উপনগরী গড়ে তোলা হয়েছে। তখনকার বাজারমূল্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার জমি মাত্র ১৪ কোটি টাকায় একটি সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দুর্নীতির তদন্তের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকেও জানানো হবে।” উপনগরী গড়তে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া চাঁদমণি চা বাগান উচ্ছেদের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু হয় ১৯৯৭ সালেই। অভিযোগ, সেই পরিস্থিতিতেও তৎকালীন রাজ্য সরকার সেখানে উপনগরী গড়তে চা বাগানের প্রায় ৪৬৪ একর জমির লিজ চুক্তি বাতিল করে খাস ঘোষণা করে। পরে তা নির্দিষ্ট সংস্থার হাতে ৯৯ বছরের লিজ চুক্তিতে তুলে দেওয়া হয়। শুরু থেকেই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি, শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন-সহ একাধিক সংগঠন যৌথ সংগ্রাম কমিটি গড়ে আন্দোলন শুরু করে। চাঁদমণি উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ গুলি চালালে ২০০২ সালে ২ জন অস্থায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সংগ্রাম কমিটির অভিযোগ, উপনগরী গড়ার ক্ষেত্রে যে সব শর্ত মানা হবে বলা হয়েছিল, তা মানা হয়নি।
|
|
|
 |
|
|