দুর্ঘটনায় মৃত্যু, পথ অবরোধ |
|
বাঁকুড়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাকের
ছবিটি তুলেছেন অভিজিৎ সিংহ। |
পথদুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া সদর থানার কুমিদ্যা গ্রামে ৬০এ জাতীয় সড়কের উপরে একটি লরি পথচারী এক বৃদ্ধকে চাপা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ত্রিলোচন মাল (৭০)। কুমিদ্যা গ্রামেই তাঁর বাড়ি। পরে পুলিশ লরির চালককে গ্রেফতার করে। রাস্তায় হাম্প তৈরির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় এক ঘণ্টা পথ অবরোধ করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ওই বৃদ্ধ রাস্তার পাশ গিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ামুখী একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা ওই লরির চালককে পাকড়াও করেন। এরপর তাঁরা পথ অবরোধ শুরু করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মধুসূদন চৌধুরীরা বলেন, “এই রাস্তায় হামেশাই দুঘর্টনা ঘটে। মাঝেমধ্যেই গাড়ির ধাক্কায় পথচারীরা জখম হচ্ছেন। লাগামহীন ভাবে গাড়িগুলি যাতায়াত করার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন গাড়িগুলির গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা করতে পারেনি।” তাঁরা জানান, রাস্তায় অনেকগুলি বাঁক রয়েছে। ফলে বেপরোয়া গাড়ি বাঁকে অনেক সময় বেসামাল হয়ে পড়ছে। ফলে দুর্ঘটনাও হামেশাই ঘটছে। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তার বাঁকে হাম্প তৈরি করে দিতে হবে। তাহলেই গাড়ির গতি কমবে। দুর্ঘটনাও কমবে। স্থানীয় আঁধারথোল পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ নাসিরুদ্দিন খানও বাসিন্দাদের সঙ্গে একই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এই রাস্তা এখন খুবই দুঘর্টনাপ্রবণ হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।” পরে পুলিশ বাসিন্দাদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ ওঠে।
|
৩৪ বছর পরে খাতড়া ব্লকের ডাকাই-দহলা কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির ক্ষমতা হাতছাড়া হল সিপিএমের। এ বার এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীই দিতে পারেনি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ডাকাই-ডহলা কৃষি সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা ৬১৩ জন। পরিচালন সমিতির সদস্য প্রতিনিধিদের ৯টি আসন। রবিবার ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূলের প্যানেলের ৯ জন প্রার্থী ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেন নি। বুধবার তৃণমূলের প্যানেলের ৯ জন প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করে তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন সমবায় নির্বাচনে ভারপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। তিনি জানান, ওই ৯ জনই প্রার্থী ছিলেন। তাঁদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ সত্বেও দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম জয়ী হয়েছিল। সেই এলাকার সমবায় নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী দিতে না পারায় যথেষ্ট উল্লসিত তৃণমূল। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি শ্যামল সরকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভোট না করে গায়ের জোরে ওই সমবায় সমিতির ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল সিপিএম। এ বার হার নিশ্চিত বুঝেই তারা প্রার্থী দিতে সাহস পায়নি।” সিপিএমের খাতড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক সুশীল মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, “ওই সমবায়ের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এত দিন পরিচালন সমিতি গঠন করতেন। এ বার কী হয়েছে, তা স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”
|
বিবাদের জেরে এক বৃদ্ধকে শাবল দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল পড়শিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বেলিয়াতোড় থানার আমলাবাইদ গ্রামের। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রবিলোচন মল্লিক (৬৫)। আমলাবাইদ গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তাঁর ছেলে নাড়ু মল্লিক একই পরিবারের ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তেরা পলাতক। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার গরুরগাড়ি চালিয়ে নাড়ুবাবু বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামের একটি বাড়ির মাটির দেওয়ালে গরুরগাড়ির ধাক্কা লাগে। মাটির দেওয়াল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের সঙ্গে নাড়ুবাবুর তুমুল বচসা বাঁধে। নাড়ুবাবুর অভিযোগ, “অসাবধানে তাঁদের ঘরের দেওয়ালে গরুরগাড়ির চাকা লেগে গিয়েছিল। কিন্তু, তারা আমার কথা না শুনে চড়াও হন। খবর পেয়ে বাবা এসে তাঁদের শান্ত হতে বলেন। উল্টে তাঁরা বাবার নিন্মাঙ্গে শাবল গিয়ে আঘাত করে। সেখানেই বাবা মারা যায়।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের চার ভাই, তাঁদের কাকা ও এক বধূর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে।
|
জাতীয় প্রাণী সম্পদ বিকাশ সপ্তাহ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা হয়ে গেল খাতড়ায়। বৃহস্পতিবার খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। বিষয় ছিল, “বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃত্রিম গো-প্রজনন, প্রাণী পালন ও প্রজাতি উন্নয়নের প্রয়োজনিয়তা।” অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ব্লক প্রাণী সম্পদ আধিকারিক দীপক ঘোষ, খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা চৌধুরী, বিডিও বুদ্ধদেব পান-সহ আরও অনেকে।
|
ট্রেনে কাটা পড়ে এক বধূর মৃত্যু হয়েছে। বিষ্ণুপুর স্টেশনের কাছে তুঁতবাড়ি গ্রামে রেল লাইনের পাশে বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি দেখতে পাওয়া যায়। পরে জিআরপি দেহটি উদ্ধার করে। রেলপুলিশ জানিয়েছে, বধূটির বয়েস আনুমানিক ৩০ বছর। পরিচয় জানা যায়নি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
|
এ বার মানভূম মেলা শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি। চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সম্প্রতি এ ব্যাপারে বৈঠক হয়েছে। এ বার মেলার নবম বর্ষ। স্থানীয় বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, “সমাজের সকলস্তরের বাসিন্দাদের নিয়ে এই মেলার আয়োজন করা হবে। মানভূম এলাকার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে এই মেলার আয়োজন।” |