নিম্নমানের বোল্ডার গিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। সারেঙ্গা ব্লকের চিলতোড় গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটনা।
বাসিন্দাদের বাধায় ওই পঞ্চায়েতের বানপুর থেকে ফুলবেড়িয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ মোরাম রাস্তার কাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নির্মিয়মান ওই রাস্তার কাজের মান নিয়ে সম্প্রতি বিডিও’র কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগজাদা মোড় থেকে ফুলবেড়িয়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তায় বোল্ডার মোরামে দেওয়ার কাজ শুরু করে সিপিএম পরিচালিত চিলতোড় পঞ্চায়েত। এর জন্য প্রায় ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। টেন্ডারে স্থানীয় দু’জন ঠিকাদার তিন কিলোমিটার করে রাস্তা তৈরি করার বরাত পান। পুজোর পরে এই কাজ শুরু হয়। বাগজাদা থেকে বাসদেবপুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশের বাধায় বানপুর গ্রামের বাঁধেরপাড় থেকে ফুলবেড়িয়া পর্যন্ত বাকি তিন কিলোমিটার রাস্তার কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। |
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার কাজের মান ভাল নয়। বানপুর থেকে ফুলবেড়িয়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরির জন্য যে বোল্ডার ফেলা হয়েছে তার মান নিম্নমানের। বানপুর গ্রামের বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য দাস, শঙ্কর কুম্ভকার, সিঁদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা তপন গরাইদের অভিযোগ, “ছয় ইঞ্চি পুরু মোরাম বিছিয়ে ১০ ফুট চওড়া রাস্তা তৈরির করার কথা। কিন্তু তার থেকে কম পুরু নিম্নমানের বোল্ডার ফেলে রাস্তা নির্মাণের কাজ সেরে মোট টাকা আত্মসাৎ করতে চাইছেন বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার।” তাঁদের দাবি, পরিকল্পনা-হিসেব অনুযায়ী রাস্তায় ভালো বোল্ডার দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছিল। তিনি তা না শোনায়, তাঁরা বিডিও’র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বাকি কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেই ঠিকাদার অজিত গরাইয়ের দাবি, “উন্নতমানের বোল্ডার গিয়ে কাজ করছিলাম। কয়েকজন বাসিন্দা মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।” চিলতোড় পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের দিলীপ হাঁসদার দাবি, “কাজ ভালভাবেই হচ্ছিল। গ্রামবাসীদের একাংশের বাধায় কাজ কিছুটা আটকে গিয়েছে। ওই রাস্তা তৈরির কাজে কোনও দুর্নীতি হয়নি।” সারেঙ্গার বিডিও হীরকজ্যোতি মজুমদার বলেন, “ওই রাস্তার কাজের মান নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ জানিয়েছেন। ব্লকের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপকুমার রানা সরেজমিন তদন্ত করে রিপোর্ট জমা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে বোল্ডারের মান একটু খারাপ।” বিডিও জানান, ভাল মানের বোল্ডার দিয়ে কাজ সারার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। |