উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সুসংহত চেকপোস্ট তৈরির জন্য অধিগহীত জমির ক্ষতিপূরণ পাননি যে সব জমির মালিক, তাঁদের আজ, শুক্রবার চেক দেওয়া হবে। বনগাঁর মহকুমাশাসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত যে সব চাষি এতদিন ক্ষতিপূরণ পাননি, শুক্রবার বনগাঁ বিডিও অফিস থেকে তাঁদের ক্ষতিপূরণের চেক বিলি করা হবে। মোট ৮৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে চেক দেওয়া হবে। তার পরেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।”
গত ২৭ অগস্ট পেট্রাপোল বন্দরে সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউস কর্পোরেশনের গোডাউনে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। ১৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই চেকপোস্ট তৈরির কাজ ২০১৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা। কিন্তু প্রকল্পের জন্য জমিদাতা কিছু চাষি ক্ষতিপূরণের চেক না পাওয়া-সহ আরও কিছু দাবি তুলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরে প্রকল্প এলাকায় কাজ বন্ধ করে দেন। তার পর থেকে কাজ বন্ধই রয়েছে। ওই সব কৃষকদের তৈরি ‘পিরোজপুর-পেট্রাপোল সরকার অধিগৃহীত জমি আন্দোলন কমিটি’র আন্দোলনকে সমর্থন জানায় সিপিএমের ছয়ঘরিয়া আঞ্চলিক কৃষক সভা। বনগাঁ কৃষক সভার সহ সম্পাদক ও স্থানীয় সিপিএম নেতা গোবিন্দ মণ্ডল সেই সময় জানিয়েছিলেন, সব চাষিরা যতক্ষণ না ক্ষতিপূরণের চেক পাবেন ততক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “কাল, শুক্রবার চেক দেওয়া কথা। সমস্ত চাষিরা চেক পেয়ে গেলে কাজ শুরু করতে দিতে আমাদের আপত্তি নেই।”
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রভাবিত খেতমজুর ও মৎস্যজীবী বাঁচাও কমিটি অবশ্য কাজ বন্ধের বিরুদ্ধে। কমিটির সভাপতি চিত্ত সর্দার বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার এলাকার উন্নয়নে এই প্রকল্প নিয়েছে। তাতে বাধা দেওয়া ভুল হচ্ছে। চাষিদের দাবিদাওয়া নয়ে আমরাই প্রথম আন্দোলন শুরু করি। দাবি না মেটা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তবে কাজ বন্ধ করে নয়।” |