করিমপুর ব্যাঙ্ক-কাণ্ড
পুলিশে কত দিন চাকরি করছেন
রিমপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে খুন ও ডাকাতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার তেহট্ট ফাস্ট ট্রাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দিতে উঠেছিলেন খাগড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর দেবাশিস সরকার। সরকার পক্ষের আইনজীবী জুলফিকার খানের প্রশ্নের উত্তরে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘১৭ নভেম্বর ২০০৯ গোপনসূত্রে খবর পাই যে, করিমপুর ব্যাঙ্ক ডাকাতির টাকা নিয়ে মানসী ঘোষাল নামে এক মহিলা বহরমপুর থানার অম্বিকাবাবু লেনে তার বাবা দীপক রায়চৌধুরীর বাড়িতে এসে উঠেছেন। সাক্ষী হিসাবে মুর্শিদাবাদ জেলার চেম্বার অফ কমার্সের সহ-সভাপতি দেবব্রত রায় ও যুগ্ম সম্পাদক কল্যাণ সাহাকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত মানসী স্বীকার করেন যে সে ব্যাঙ্ক ডাকাতির টাকা নিয়ে এসেছে। এর পর ঘর থেকে সে টাকাভর্তি একটি স্যুটকেস বের করে। তাতেই ৫০ টাকা নোটের ২৯টি বাণ্ডিল, ২০ টাকা নোটের ৪৭টি বাণ্ডিল, ১০ টাকা নোটের ৪০টি বাণ্ডিল, ৬২টি খুচরো ৫০ টাকার নোট, একটি কালো রঙের মোবাইল, ব্যাঙ্কের একটি পাশবই ও একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি টাকার বাণ্ডিলে করিমপুর ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের সিল মারা ছিল ওখানে উপস্থিত সকলের সামনে টাকা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে তার একটা তালিকা তৈরি করি। এরপর মানসী ঘোষালকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি।’’
জুলফিকার: এ ছাড়া আপনি আর কি করেছিলেন?
দেবাশিসবাবু: মানসী ঘোষালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার একটা জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছিলাম।
জুলফিকার: থানায় আসার পর কী হল?
দেবাশিসবাবু: করিমপুর থানার পুলিশ বহরমপুর থানায় আসে। এরপর বাজেয়াপ্ত সামগ্রী ও ধৃত মানসীকে করিমপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এরপর দেবাশিসবাবুকে জেরা করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবি মহম্মদ আবু বাক্কার সিদ্দিকি।
আবু বাক্কার: পুলিশে চাকরি কতদিন করছেন?
দেবাশিসবাবু: ১০-১২ বছর।
আবু বাক্কার: এখন কোথায় আছেন?
দেবাশিসবাবু: লালগোলা থানায় ওসি হিসাবে কর্মরত।
আবু বাক্কার: আপনি ৪৪৭ নং জিডি’র কথা বলছেন, সেটা কি আপনি নিজে করেছিলেন?
দেবাশিসবাবু: জিডি না দেখে এই মূহূর্তে বলা সম্ভব নয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.