|
|
|
|
হলদিয়ায় ৯০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ বাতিল হাইকোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বামফ্রন্টের আমলে শুরু হয়ে হলদিয়ার চকদীপা মৌজায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছিল নতুন সরকার আসার পরেও। সম্পত্তি রক্ষায় সংবিধানের দেওয়া অধিকার হরণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে সেই ৯০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ছ’বছর আগে, ২০০৬ সালে বাম সরকার হলদিয়ার ওই মৌজায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছিল। শুরু থেকেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে। কিন্তু কোনও অভিযোগেই কর্ণপাত না-করে তৎকালীন সরকার অধিগ্রহণের কাজ চালিয়ে যায়। আবেদন-নিবেদনে কাজ না-হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন তপতী দত্ত নামে এক জমি-মালিক।
তপতীদেবী হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে জানান, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও অধিগ্রহণের কাজ চালু রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ আইনের কোনও রকম তোয়াক্কা না-করে খুশিমতো জমি অধিগ্রহণ করছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তপতীদেবীর আইনজীবী অমরেশ প্রধান বলেন, জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী জমির মালিকের বক্তব্য শোনা বাধ্যতামূলক। তপতীদেবী তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য বারবার জেলাশাসকের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছিলেন। কিন্তু তপতীদেবী অনুরোধ জানানোর পরে জেলাশাসক তাঁকে জানিয়ে দেন, তাঁর বক্তব্য শোনা হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসক যে জমির মালিকদের বক্তব্য শুনেছেন, সেই সম্পর্কিত কাগজপত্র জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। ওই নথিপত্র পেশ করার জন্য বেশ কয়েক বার সময় নেন জেলাশাসক। কিন্তু তার পরেও তিনি সেই সব কাগজপত্র দাখিল করতে পারেননি। ওই জমি-মালিক এবং সরকার পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী জানিয়ে দেন, সংবিধান দেশের মানুষকে সম্পত্তি রক্ষার যে-অধিকার দিয়েছে, এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই ওই জমি অধিগ্রহণ বৈধ নয়। তাই অধিগ্রহণ বাতিল করা হল। |
|
|
|
|
|