|
|
|
|
অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক |
বাস থামিয়ে ছিনতাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বৃহস্পতিবার ভোরে ঝাড়গ্রামের মোহনপুরের জঙ্গল রাস্তায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যাত্রিবাহী বাস থামিয়ে ব্যাপক লুঠপাট চালাল এক দল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা প্রতিবাদে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বাঁকশোলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। বিপর্যস্ত হয় সড়কে যান-চলাচল। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে অবরোধ ওঠে।
এ দিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ গোপীবল্লভপুর থেকে সবংয়ের মোহাড়গামী যাত্রিবাহী বেসরকারি বাসটি মোহনপুরের জঙ্গলের কাছে লুঠেরাদের কবলে পড়ে। বাসে জনা কুড়ি যাত্রী ছিলেন। বাস-চালক নিতাই পাত্র বলেন, “তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। হেডলাইটের আলোয় দেখি রাস্তায় আড়াআড়ি গাছের গুঁড়ি ও পাথর রাখা আছে। বিপদ বুঝে পিছনে যেতে থাকলে জঙ্গল থেকে রে-রে করে বেরিয়ে পড়ে ৮-৯ জন সশস্ত্র যুবক। সকলের মুখ বাঁধা। হাতে টাঙি, লাঠি, লোহার রড। ইট-পাথর ছুড়ে ওরা বাসের জানলার কাচ ভাঙে। কয়েক জন বাসে উঠে পড়ে।” ভোরের বাস ধরে নিয়মিত খড়্গপুরে সব্জি কিনতে যান স্থানীয় পাইকাররা। সব্জি ব্যবসায়ী ঝাড়গ্রামের নেতুরার নিত্যানন্দ গিরি, ফেঁকোর দীপক পালেরা বলেন, “মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ওরা নগদ টাকা, মোবাইল, হাতঘড়ি, মহিলাদের গয়না লুঠ করে নেয়। নিগৃহীত হন মহিলা যাত্রীরা।” লুঠপাট চালিয়ে হামলাকারীরা জঙ্গলেই গা-ঢাকা দেয়। এর পর বাঁকশোলের দিকেই বাসটি নিয়ে গিয়ে অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) সুমিত কুমার এসে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেঅবরোধ ওঠে। |
|
ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
ঝাড়গ্রামের জঙ্গলরাস্তায় যানবাহন থামিয়ে লুঠপাটের ঘটনা নতুন নয়। সন্ধের পর জাতীয় সড়ক-সহ একাধিক রাস্তাই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কখনও রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে, কখনও লোহার ফলা পেতে চাকা ফাটিয়ে বেসামাল যানবাহনে চড়াও হয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ইতিপূর্বে দু’দুবার সড়ক ছিনতাইবাজদের ‘ফলা’র ফাঁদে পড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন স্বয়ং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। তার পরেও নিরাপত্তার আয়োজনে যে কতটা ঘাটতি, বুঝিয়ে দিল এ দিন ভোরের ঘটনা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, “উপযুক্ত নিরাপত্তা না পেলে ভোরের বাস চালানো আর সম্ভব নয়।” পুলিশের আশ্বাস, নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|