|
|
|
|
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই সংস্কার |
জমি অধিগ্রহণের আগেই কাজ শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটাশপুর |
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের আগেই নদী সংস্কারের কাজ শুরু করে দেবে রাজ্যের সেচ দফতর।
বৃহস্পতিবার পটাশপুর থানার পালপাড়া কলেজের কমিউনিটি হলে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত সচিব, জেলা প্রশাসন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছন। তৃণমূলের কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী বলেন, “জমি অধিগ্রহণের পরে কাজ শুরু করতে গেলে দেরি হয়ে যাবে। তাই আগেই কাজ শুরু করে দেব আমরা।” তাঁর মতে, “মানুষ জমি দিতে আপত্তি করবে না। কারণ, এই কাজ কতটা জরুরি তা সকলে বুঝে গিয়েছে। তা ছাড়া অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণও সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হবে। ফলে কারও কোনও সমস্যা হবে না।” |
|
ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
কথা থাকলেও এ দিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। স্বভাবতই এই কংগ্রেস নেতার অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় বৈঠকে। এই প্রসঙ্গে শিশির অধিকারীর বক্তব্য, “সবংয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত বলে মন্ত্রী আসতে পারেননি। আমার সঙ্গে ওঁর কথা হয়েছে।” আর পরে মানসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সকলের সঙ্গে সহমত হয়ে কাজ করতে বলেছেন। সেটাই করা হবে। শিশিরবাবুুরা বিরাট সাহায্য করছেন। ময়নায় শুভেন্দুকে নিয়ে ফের এই প্রকল্পের বৈঠক করব আমরা।” মন্ত্রীর আরও দাবি, “আগের বাম সরকার হাতে টাকা পেয়েও কাজ করতে পারেনি। সেখানে আমরা গত পাঁচ মাসেই এই প্রল্পের কাজে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি।”
বৈঠকে অবশ্য সেচ দফতরের সচিব অঞ্জন কুমার চট্টোপাধ্যায়, দুই সহ-সচিব দেবাশিস সেনগুপ্ত ও অমিতাভ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রাজীব কুমার, বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, অর্ধেন্দু মাইতি, অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কেলেঘাই নদীর বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য কোনও জমি নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র বাগুই নদীর ডান দিকে বাঁধ নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমি অধিগ্রহণ হবে। প্রথম পর্যায়ে সেচ দফতর কেলেঘাই নদীর নাঙলকাটা থেকে চাবুকিয়া পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার অংশ সংস্কার করার পরিকল্পনা নিলেও এ দিনের বৈঠকে চাবুকিয়া থেকে ঢেউভাঙা পর্যন্ত আরও ১৩ কিলোমিটার অংশে কাজ করা হবে বলে ঠিক হয়। অর্থাৎ ঢেউভাঙা পর্যন্ত মোট সাড়ে ২১ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করা হবে প্রথম পর্যায়ে।
ডিসেম্বরের মধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলেও ঠিক হয় বৈঠকে। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে হবে প্রথম পর্যায়ের কাজ। এর জন্য জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পেশ করবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সদর্থক প্রচারের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে। |
|
|
|
|
|