ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, নিউ ক্যাসল ইউনাইটেড, অ্যাস্টন ভিলাতে খেলেছেন এক জন।
অন্য জন খেলেছেন লিডস ইউনাইটেড, ওয়েস্ট ব্রমউইচের মতো দলে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলেও।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পরিচিত দুই তারকা জন বুরিজ এবং কার্লটন পামের কলকাতা আসছেন মোহন-ইস্ট ম্যাচ দেখতে। টেন অ্যাকশন প্লাসের বিশেষজ্ঞের ভূমিকায়। এঁদের মধ্যে বূুরিজ তিরিশ বছরে ইংল্যান্ডের ২৯টি ক্লাবে খেলেছেন। ব্ল্যাকপুলে তাঁকে হল অব ফেমে রাখা হয়। কার্লটন লিডস, শেফিল্ড ওয়েডনেসডে, ব্রমউইচের হয়ে একশোর বেশি খেলেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১৮টি ম্যাচ।
ভারতের ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচে স্টেডিয়াম ফাঁকা থাকলেও দুই ক্লাবের ম্যাচ নিয়ে তুমুল উৎসাহ কলকাতায়। টিকিটের লম্বা লাইন দুই মাঠে। মোহনবাগান আয়োজক বলে সেখানেই টিকিটের চাহিদা বেশি। আই এফ এ-র বড় কর্তারা টিকিট বন্টন করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এত দিন ম্যাচ করেও তাঁরা দু’তিন দিনের আগে টিকিট বের করতে পারেন না। বন্টন ব্যবস্থাও শোচনীয় থাকে। ভারত-মালয়েশিয়া ম্যাচেও তা দেখা গেছে। মোহনবাগান কর্তারা কিন্তু টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে অনেক সফল। তাঁদের আশা, আশি হাজারের বেশি লোক আসবেন। বড় ম্যাচ দেখতে বিজয় মাল্যর ছেলে সিদ্ধার্থ মাল্য আসতে পারেন। সিদ্ধার্থ এখন মোহনবাগানের চেয়ারম্যান। তিনি এখন থেকেই টুইট করছেন ম্যাচ নিয়ে। খেলা দেখতে আসছেন মর্গ্যানের ছেলেও। অস্ট্রেলিয়া থেকে।
ম্যাচের টিকিট বিক্রি ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা বেশি টিকিট পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে, ওরা চায় না আমাদের বেশি লোক মাঠে যাক। আমরা যখন এই ম্যাচ করব, তখন এমন অখেলোয়াড়সুলভ মনোভাব দেখাব না।” মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র পাল্টা বলেন, “সাংবাদিকদের সামনেই ২৫ হাজার টিকিট দিয়ে দেব। টাকা দিলেই টিকিট পাওয়া যাবে। টিকিট বিক্রি হল, আর টাকা পেলাম না, তা যাতে না হয়।” দুই ক্লাবের টিকিট নিয়ে টানাপোড়েনে ম্যাচ আরও অন্য মাত্রা পেয়ে গিয়েছে।টিকিট বিক্রি নিয়ে বিতর্ক অন্য খাতে বইছে আই এফ এ এখানে ঢুকে পড়ায়। ইস্টবেঙ্গলের জন্য মোহনবাগান থেকে পাঁচ হাজার টিকিট কিনেছেন আই এফ এ কর্তারা। এ নিয়ে তোলপাড় ময়দান। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা টিকিট চেয়েছিল। তাই আমি মোহনবাগান থেকে আনিয়ে দিই।” |