|
|
|
|
শো-কজ অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের |
আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বরাদ্দ টাকা ঠিক ভাবে খরচ হয়নি--এই অভিযোগে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শো-কজ করল অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর। ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নচেৎ, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট দফতর জানাচ্ছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিক্রমপুরে। বিক্রমপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র পাত্র-র কাছে ইতিমধ্যেই শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রণব ঘোষের বক্তব্য, “অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ওঁকে শো-কজ করা হয়েছে।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এর আগে সংশ্লিষ্ট দফতরের দুই আধিকারিক বিক্রমপুর হাইস্কুলে গিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তদন্ত-রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেন। তার পরই এই পদক্ষেপ। প্রাথমিক তদন্তে বরাদ্দ টাকা ঠিক ভাবে খরচ হয়নি বলেই ওই দুই আধিকারিকের মনে হয়েছে। |
|
বিক্রমপুর হাইস্কুলের অসম্পূর্ণ শ্রেণিকক্ষ। নিজস্ব চিত্র। |
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য ২০০৮-’০৯ আর্থিক বছরে বিক্রমপুর হাইস্কুল মোট ১৫ লক্ষ টাকা পায়। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর থেকেই এই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দ অর্থে দু’টি শ্রেণিকক্ষ আংশিক তৈরি হয়েছে। বস্তুত দেওয়াল তুলে ঢালাই দেওয়া হয়েছে মাত্র। কাজ শেষ হয়নি। অভিযোগ, বরাদ্দ টাকা ঠিক ভাবে খরচ হলে এত দিনে দুটি শ্রেণিকক্ষের কাজই সম্পূর্ণ হয় যেত। কিন্তু তা হয়নি। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। সম্প্রতি, কিছু অভিভাবক স্কুলে এসে একই অভিযোগ তোলেন। এক অভিভাবকের কথায়, “উন্নয়নের অর্থ নয়ছয় হয়েছে। তা না-হলে নতুন শ্রেণিকক্ষ এই অবস্থায় পড়ে থাকত না।” এমন অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর। তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিক তদন্তের জন্য দুই আধিকারিককে স্কুলে পাঠানো হয়। ক’দিন আগেই তাঁরা স্কুল পরিদর্শনে যান। ঘুরে দেখেন ওই দুটি শ্রেণিকক্ষ। খোদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের কাছেও এই অভিযোগ এসেছিল। সভাধিপতি বলেন, “এমন অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সব দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” তবে, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই গোপালবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার তিনি স্কুলে গরহাজির ছিলেন। স্কুলের ফোনে যোগাযোগ করা হলে এক কর্মী বলেন, “উনি আজ স্কুলে আসেননি। ওঁর মোবাইল ফোনের নম্বরও স্কুলে নেই!” অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, সময়ের মধ্যে শো-কজের সদুত্তর না-এলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ওই সূত্রই জানাচ্ছে, বরাদ্দ টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটও (ইউসি) জেলা দফতরে জমা পড়েনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই সার্টিফিকেট ব্লক অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|