কার্তিক পুজোয় ঢল বাঁশবেড়িয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁশবেড়িয়া |
সন্ধ্যা নামতেই কার্তিক পুজো দেখতে মানুষের ঢল বাঁশবেড়িয়ায়।
হুগলির চন্দননগর যেমন জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠে, তার কাছের শহর বাঁশবেড়িয়া প্রতি বছর মেতে ওঠে কার্তিক পুজোয়। |
|
কিশোর সঙ্ঘের মন্ডপ। ছবি: তাপস ঘোষ। |
চার দিনের পুজো শুরু হল বৃহস্পতিবার থেকে। রাত যত বেড়েছে, বেড়েছে ভিড়। ফুচকা, ঘুগনি বা অন্য খাবারের দোকানগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না এ দিন। রংবাহারি শ’য়ে শ’য়ে তোয়ালে দিয়ে মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে মিতালি সঙ্ঘ। তা দেখতে উপছে পড়ছে ভিড়। শহরের খামারপাড়ার কুণ্ডুগলির পুজোয় মণ্ডপের পাশাপাশি ঠাকুরের বৈচিত্র্য চোখে পড়ার মতো। কার্তিক এখানে ষড়ানন। নব কলেবরে ডিজনিল্যান্ড উঠে এসেছে কিশোর সঙ্ঘের মণ্ডপে। ছোটদের নজর কাড়ছে মণ্ডপটি।
নানা রকম মণ্ডপ তো আছেই, কার্তিকও এখানে হাজির নানা বেশে। কোথাও তাঁর রাজবেশ, কোথাও জামাইবেশ। কোথাও তিনি অর্জুনরূপী। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে সর্বপল্লী যুবসঙ্ঘের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে চট দিয়ে। |
|
বাঁশবেড়িয়ায় অভিযাত্রী সঙ্ঘের কার্তিক পুজোর মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র |
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, হারিয়ে যেতে বসা পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবনের কথা ভেবেই তাঁরা চটের ব্যবহার করেছেন মণ্ডপে। সাহাগঞ্জের সন্তান সঙ্ঘের কার্তিকের জামাইবেশ। অভিযাত্রী সঙ্ঘের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে পুরনো আমলের জমিদারি বাড়ির দালানের অনুকরণে। ভিতরে নটরাজের আদলে কার্তিক। লোক টেনেছে সাহাগঞ্জের বহু পুরনো রাজা কার্তিকও। গন্ধেশ্বরী ঘাটের কাছে শিবতলা সঙ্ঘে প্রতি বারেই এই সময় মহাদেবের পুজো হয়। দেবতার উচ্চতা ৫০ ফুট। |
|