এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার। পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক সঙ্কট সমাধানের পথ খুঁজতে ফের দিল্লিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা। এর পাশাপাশি দিল্লিতে আরও কিছু কাজ সারবেন মমতা। আগামী ২২ থেকে ২৪ নভেম্বর রাজধানীতে থাকবেন তিনি।
তিন দিনের এই দিল্লি সফরে মমতা যেমন প্রধানমন্ত্রী-সহ ইউপিএ নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন, তেমনই পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আমলাদের সঙ্গে নৈশভোজও সারবেন। এর পাশাপাশি যেমন সংসদে গিয়ে পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন, তেমনই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের প্যাভিলিয়নেও। সব মিলিয়ে রাজধানীতে তিন দিনের ঠাসা কর্মসূচি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর।
রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে এ বার প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর থেকে স্পষ্ট আশ্বাস চাইছেন মমতা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তিনি বোঝাতে চাইছেন, অন্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে এক করে দেখা ঠিক নয়। তাঁর অভিযোগ, গত ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে সিপিএমের করে যাওয়া ঋণের ভার বইতে হচ্ছে তাঁর সরকারকে।
তিস্তা পরিস্থিতি নিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা হতে পারে মমতার। গত কাল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেই বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা কেন্দ্রকে জানাবেন মমতা। রাজ্য প্রশাসনকে কী ভাবে আরও চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়েও তিনি কথা বলবেন দিল্লিতে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আমলাদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে নৈশভোজ হওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে।
বাদল অধিবেশনে সম্ভব না হলেও এ বার শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মমতার। সাংসদ হিসেবে ইস্তফা দেওয়ার আগে এক বার লোকসভায় উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু সময় পাননি। এ বার তাই অধিবেশন চলাকালীন দিল্লি এসে সংসদে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মমতার। দলের মুখ্য সচেতক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সম্ভবত ২৩ নভেম্বর তিনি সংসদের সেন্ট্রাল হলে গিয়ে সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন। পরের দিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। সে দিন বাণিজ্য মেলায় তাঁর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।” |