বাংলাদেশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলফা-নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফেরানোর বিষয়ে কথা বলবে কেন্দ্রীয় সরকার। সীমান্তে প্রহরা বাড়ানোর বিষয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা ছাড়া খতিয়ে দেখা হবে ছিটমহল হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও।
অনুপ চেটিয়া |
শনিবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক বসছে নয়াদিল্লিতে। তার আগে আগামিকাল দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘যৌথ কার্যকরী গোষ্ঠী’-র বৈঠক বসবে। বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব মনজুর হুসেনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল আজ দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, আলফার
একটা বড় অংশকে শান্তি আলোচনায় বসানো গেলেও দলের সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া এখনও আলোচনার বিরোধিতা করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রাজশাহীর জেলে থাকা আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে আলোচনা প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে নিতে রাজ্য সরকারও যেমন আগ্রহী, তেমনই চান আলোচনাপন্থী আলফা-নেতারাও। চেটিয়াকে ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন অরবিন্দ রাজখোয়ারা। জেল থেকে আলোচনা প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছেন চেটিয়াও। গত জুলাই মাসে ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম চেটিয়াকে ভারতে ফেরানোর বিষয়ে বাংলাদেশ-সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের কথায়, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকলেও সংগঠিত অপরাধ দমন ও পারস্পরিক আইনি সাহায্যের বিষয়ে চুক্তি ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। এর আওতায় কোন প্রক্রিয়ায় চেতিয়াকে ভারতে নিয়ে এসে আলোচনায় বসানো যায়, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া বৈঠকে বেআইনি অনুপ্রবেশ, মাদক পাচারের মতো সমস্যা নিয়েও আলোচনা হবে। দু’দেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মধ্যে আঁতাঁত ক্রমশ বাড়ছে বলে খবর পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। মনমোহন সিংহের ঢাকা সফরের পরেই ২৪ ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দু’টি বড় ছিটমহলের সঙ্গে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগকারী তিনবিঘা করিডর। ছিটমহল হস্তান্তরের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়েও দুপক্ষের কথা হবে বৈঠকে। |