টুকরো খবর |
মায়ের মতো চোখ হতে পারে নাতনির
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সারা দিনের ধকল কাটিয়েও রাতে ব্লগ না লিখে পারলেন না অমিতাভ বচ্চন। বংশের ‘নবম বচ্চন’কে ঘিরে এতটাই উচ্ছ্বসিত আর আপ্লুত তিনি। প্রয়াত পিতা হরিবংশ রাই বচ্চনকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেছেন, “বাবা! আমার দুই হাতে নবম বচ্চনকে ধরে আছি আমি! অমিতাভ, অজিতাভ (ভাই), শ্বেতা (মেয়ে), নীলিমা ও নম্রতা (অজিতাভের মেয়েরা), অভিষেক (ছেলে), নয়না ও ভীম (শ্বেতার ছেলেমেয়ে)...আর এখন এই ছোট্ট মিষ্টিটা, যার নাম ঠিক হয়নি এখনও।” কেমন দেখতে হল ঐশ্বর্যার মেয়েকে? অমিতাভের বর্ণনা বলছে, ঈষৎ ফুলো ঠোঁট আর মায়ের মতো হালকা রঙের মণি হতে পারে তার। তবে একটু বড় হলে চোখের রং বদলে যেতে পারে, বচ্চন সে কথাও লিখেছেন। সদ্যোজাত নাতনিকে প্রথম বার কোলে নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে অমিতাভ লিখেছেন, “প্রকৃতির এই নিষ্পাপ কোমলতা এখন আমার হাতের আশ্রয়ে। চারপাশে কী ঘটছে, তাতে তার কিচ্ছু আসে যায় না। মাঝে মাঝে সে তার বড় বড় চোখ দু’টো খোলে...আমি নীরবে তার দিকে চেয়ে থাকি। সে-ও নীরবতাতেই উত্তর দেয়। বড় মর্মস্পর্শী মুহূর্ত। আমি এর সঙ্গে অভ্যস্ত নই। ওকে কি আমার হাত দু’টো দিয়ে জড়িয়ে আগলানোর চেষ্টা করব নাকি পরিবারের সকলের ক্যামেরার ঝলকানির মধ্যে শুধু স্থির-নিশ্চল হয়ে থাকব!” স্থির-নিশ্চল অবশ্য পুরোটা থাকতে পারেননি সিনিয়র বচ্চন। সে কথাও জানিয়েছেন নিজেই। পরিবারের সকলেই কেঁদে ফেলেছিলেন। “ক্যামেরার লেন্সে কয়েক ফোঁটা জল আমিও ফেলেছি গোপনে।” নতুন সদস্যকে কার মতো দেখতে হল? পরিবারের সকলে এটা নিয়ে আলোচনা করেছেন বটে! সিদ্ধান্তটা কী হল? সেটা জানাননি অমিতাভ!
|
মণিপুরে আইইডি বিস্ফোরণে জখম ১
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
আইইডি বিস্ফোরণে মণিপুরে জখম হলেন দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম ইম্ফলের উরিপকে। পুলিশ জানায়, হেরিটেজ কনভেন্ট স্কুলের সামনে একটি লোহার দোকান রয়েছে। সেখানেই ভাঙা জিনিসপত্রের সঙ্গে পাইপ আকারের আইইডিটি রাখা ছিল। দোকানের কর্মচারী হাতুড়ি দিয়ে তা ভাঙার চেষ্টা করতেই বিস্ফোরণ হয়। উপেন্দ্র কুমার নামে ওই কর্মচারী জখম হন। লইশরাম কাওবা নামে এক পথচারীও স্প্লিন্টারের ঘায়ে আহত হয়েছেন। দু’জনকে রিমস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার সময় স্কুল চলছিল। স্প্লিন্টারের আঘাতে, সামনে দাঁড়ানো দুটি স্কুল ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্কুল শুরু বা শেষের সময় বিস্ফোরণ হলে ছাত্রছাত্রীদের জখম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
|
সেনার গুলিতে নিহত তিন আলফা জঙ্গি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গেল তিন আলফা জঙ্গি। ঘটনাটি ঘটেছে তিনসুকিয়ার লাগোয়া, অরুণাচলের নামসাইতে। সেনা সূত্রে খবর, নামসাই এলাকায় আদি উপজাতিদের একটি গ্রামে কিছু জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে জানতে পেরে সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান শুরু করে। আজ ভোরে বাড়িটি চিহ্নিত করার পরে সামনের দরজায় টোকা দিতেই ভিতরে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালায়। দুই পক্ষে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে। ঘটনাস্থলেই তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। নিহত জঙ্গিদের নাম আমজাদ চেটিয়া (২৮), বিদ্যুৎ গোহাই (২২) ও রমেন গগৈ (২৬)। সকলেই আলফার ২৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল, ১২০ রাউন্ড গুলি, একটি গ্রেনেড, একটি পিস্তল, হুমকি চিঠি, মোবাইল ফোন এবং ভারত ও মায়ানমারের বেশ কিছু টাকা মিলেছে। পুলিশের সন্দেহ, মায়ানমার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পরেশপন্থী আলফার যে দলটি উজানি অসমে ঢুকেছিল, নিহত জঙ্গিরা সকলে সেই দলেরই সদস্য।
|
জঙ্গিদের গুলিতে জখম দুই শ্রমিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সংঘর্ষবিরতিতে থাকা জঙ্গি সংগঠনের গুলিতেই জখম হলেন একটি মাটি খোঁড়া ট্রাকের (এক্সক্যাভেটর) চালক ও তাঁর সহকারী। গত কাল মণিপুরের চান্ডেল জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, সাজিক টাম্পাক এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই এক্সক্যাভেটরটি কাজে লাগানো হয়। ইউকেএলএফ জঙ্গিদের দল শ্রমিক শিবিরে হানা দিয়ে টাকা চায়। টাকা না পেয়ে এক্সক্যাভেটর লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। এক্সক্যাভেটর চালক এইচ হেম্বা ও এস আবু নামে তাঁর সহকারী গুলিতে জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি, বিষ্ণুপুর জেলার জেলাপরিষদের প্রধান টংবাম ওংবি হেমা দেবীর বাড়িতে একটি চিনা গ্রেনেড মিলেছে। পুলিশের সন্দেহ, গত রাতে জঙ্গিরা গ্রেনেডটি ছুড়ে পালায়। তবে সেটি ফাটেনি।
|
ডিমাপুরে আগুনে মৃত ৩, গৃহহারা বহু
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
আগুন লেগে ঘর ছাড়া হলেন ডিমাপুরের প্রায় তিন হাজার হিন্দীভাষী মানুষ। মঙ্গলবার রাতে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে, বর্মা ক্যাম্প এলাকার পূর্ব ব্লকে আগুন লাগে। এখন অবধি সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা তিন। স্থানীয় সূত্রে অবশ্য চারজন মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। রাতভর চেষ্টা করে দমকল আগুন আয়ত্তে আনে। ডিমাপুরের জেলাশাসক হুসিলি সেমা জানান, ওই অংশে থাকা ৮০৪টি বাড়ির একটিও অবশিষ্ট নেই। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি হওয়ায় আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে, এক রিক্সাচালকের ঘর থেকেই প্রথম আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে বেশ কয়েকটি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় উপেন্দ্র পাসওয়ান (৪০) ও নন্দুলাল নামে দুই দিনমজুর ও দুলাইরাম (৩৫) নামে এক অটোচালকের। সকলেরই বাড়ি বিহারের মোতিহারিতে। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, বর্মা ক্যাম্প বাজার দুর্গা পূজা কমিটি, নাগামিজ ব্যাপটিস্ট চার্চ-সহ বহু সংগঠন ঘরপোড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।
|
গুয়াহাটি কারাগার থেকে উধাও বন্দি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
যে কারাগারে বন্দি থাকেন আলফার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতারা, যে কারাগারে আটকে রাখা হয় এনডিএফবি প্রধান রঞ্জন দইমারি বা ব্ল্যাক উইডো দলের মাথাদের, সেই কারাগার থেকেই পালিয়ে গেল কয়েদি। যদিও পলাতক কয়েদি কোনও জঙ্গি নেতা নয়, সামান্য চোর। তবু গত রাতে গুয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কয়েদি পালিয়ে যাওয়ায় ‘হাই প্রোফাইল’ কারাগারের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে গণনার সময় দেখা যায় উধাও হয়ে গিয়েছে চুরির মামলায় অভিযুক্ত এক কয়েদি। মনসুর আলি নামে ওই কয়েদিকে ভাঙাগড়ের একটি চুরির মামলায় ধরেছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখা একটি মই ব্যবহার করেই কয়েদিটি দেওয়াল টপকে পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনার জন্য জেলার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ‘শো-কজ’ করা হয়েছে।
|
আডবাণীকে খুনের হমকি
সংবাদসংস্থা • চণ্ডীগড় |
লালকৃষ্ণ আডবাণীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক জনকে আটক করল পঞ্জাব পুলিশ। তিনি পেশায় নাপিত। তাঁর স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, কয়েক দিন আগে একটি দেশি বন্দুক কিনে আনেন তিনি। সেই বন্দুক দিয়ে আডবাণীকে মারবেন বলে স্ত্রীকে জানান তিনি। সে সময়ে ‘জন চেতনা যাত্রা’ উপলক্ষে পঞ্জাবে উপস্থিত ছিলেন আডবাণী। ভয় পেয়ে পুলিশকে সব কথা জানিয়ে দেন স্ত্রী। এর পরেই ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। |
|