১৮ বছর পরে দার্জিলিং পাহাড়ে হতে চলছে ‘টি ও ট্যুরিজম উৎসব।’ উৎসব। পাহাড়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, হোটেল, পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে একযোগে উৎসবের আয়োজন করছেন। উদ্যোক্তারা জানান, আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ৫ জানুয়ারি অবধি পাহাড়ের তিন মহকুমা জুড়ে চলবে উৎসব। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সামনে ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং চা’কে তুলে ধরা হবে। চলবে নানা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাদ্যমেলাও। প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে উদ্যোক্তারা মনে করছেন। যার অর্ধেক রাজ্য সরকার দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে স্থানীয় হোটেল, পর্যটন, পরিবহণ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি একযোগে ওই উৎসবের আয়োজন করছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে উৎসব কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “দীর্ঘদিন আগে পাহাড়ে চা-পর্যটন উৎসব হত। ফের তা হবে। পর্যটনের আকর্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি পাহাড়ের পরিবেশ, পরিস্থিতি উৎসবের মাধ্যমে সুন্দর হয়ে উঠবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং মিরিকে একযোগে উৎসব চলবে।” উৎসব নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারাও। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “বিরাট মাপের উৎসব হচ্ছে। এতে পাহাড়ের পর্যটনের ছবিটাই পাল্টে যাবে।” ১৯৯৩ সালে পাহাড়ে সরকারি উদ্যোগে শেষবারের মত পাহাড়ে চা উৎসব হয়। সরকার, পার্বত্য পরিষদ এবং স্থানীয় বিভিন্ন পক্ষ মিলিয়ে উৎসব হয়েছিল। পরে সুবাস ঘিসিং নদী, পাহাড়, পর্যটন কেন্দ্র ধরে ধরে নানা উৎসব করেন। কিন্তু, চা উৎসব নিয়ে আর উৎসাহ দেখাননি। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) চুক্তির পর পাহাড়ের পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। মোর্চার তরফেও বিমল গুরুঙ্গেরা তাতে সবুজ সংকেত দেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, উৎসবে বড় বড় প্যাভিলিয়ন করা হচ্ছে। সেখানে দার্জিলিং চায়ের ইতিহাস, বিভিন্ন বাগানের তথ্য সমৃদ্ধ ছবি, চা প্রস্তুত করা এবং কারখানার মডেল, চা নিলাম এবং টি টেস্টিং কী ভাবে হয় তা তুলে ধরা হবে। চা খাওয়ার প্রতিযোগিতা থাকবে পর্যটকদের জন্য। পাশাপাশি দেশ এবং বিদেশে গোর্খা জওয়ানদের কৃতিত্বের কথাও ছবি, তথ্য, মেডেলের মাধ্যমে আরেকটি গ্যালারিতে তুলে ধরা হচ্ছে। উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদয়মণি প্রধান জানান, কার্নিভাল, প্যারেড, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মাউন্টেন বাইকিং, প্যারা গ্লাইডিং, র্যাফটিং, হট এয়ার বেলুনিং, ট্রেকিং ছাড়াও ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা, ফান রান, স্কেটিং, স্নো কুইন কনটেস্ট থাকবে। উৎসব চলাকালীন দার্জিলিং পাহাড়ে শু্যটিং করা আরাধনা, ম্যা হুঁ না, রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান, সাগিনা মাহাতো, পরিণীতা মাল্টিপ্লেক্সে দেখানো হবে। |