এই নিয়ে টানা দু’সপ্তাহ কমলো খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৫ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে (২০১০-এর এই সময়ের সাপেক্ষে) তা দাঁড়িয়েছে ১০.৬৩ শতাংশ। ঠিক আগের সপ্তাহের ১১.৮১ শতাংশের তুলনায় যা বেশ কিছুটা কম।
আমজনতার নাভিশ্বাস তুলে ক্রমশ বাড়তে বাড়তে গত ২২ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ১২.২১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। তার পরই টানা দু’সপ্তাহ তা কিছুটা নিম্নমুখী হয়। প্রত্যাশিত ভাবেই একে “ভাল লক্ষণ” বলে চিহ্নিত করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। আরও কিছু দিন এই ধারা বজায় থাকলে, থলি হাতে বাজারের দিকে পা বাড়ানো সাধারণ মানুষ অন্তত কিছুটা স্বস্তি পাবেন বলেও দাবি তাঁর।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে গত বছরের একই সময়ের সাপেক্ষে দাম কমেছে গম (৩.৬৩%) এবং পেঁয়াজের (২২.৮৯%)। কিন্তু দাম বেড়েছে সব্জি (২৭.২৬%), ডাল (১৪.৪৪%), দুধ (১০.৭৪%) ইত্যাদির। দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, ডিমেরও (১১.৭৩%)। অর্থাৎ, ৫ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহেও অনেক খাদ্যদ্রব্যের দামই ছিল যথেষ্ট চড়া। উঠেছে জ্বালানি সূচকও। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি কারণে আশার আলো খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। উৎসবের মরসুম শেষ হওয়ার পাশাপাশি শীতের সব্জি বাজারে এসে পড়ায় গত কয়েক দিনে বেশ কিছু সব্জির দাম খানিকটা কমেছে। তাই আগামী পরিসংখ্যানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার আরও কমতে পারে বলে আশা করছেন তাঁরা। |