|
|
|
|
পাকা রাস্তার দাবি ময়ূরেশ্বরের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্ব |
কিলোমিটার চারেক দূরত্বে রয়েছে স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, পঞ্চায়েত অফিস। কিন্তু এই চার কিলোমিটার দূরত্ব কখনও কখনও বিশেষত বর্ষাকালে দুস্তর ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায় ময়ূরেশ্বরের বাঁধ গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে। কারণ গ্রাম থেকে বাইরে বেরনোর রাস্তা বলতে রয়েছে সঙ্কীর্ণ আলপথ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানার ওই গ্রামে প্রায় ১৭০টি পরিবারের বাস। গ্রামবাসীদের নিকটবর্তী স্কুল-কলেজ, বাজার-হাট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এমনকী পঞ্চায়েত অফিসও রয়েছে প্রায় ৪ কিমি দূরে লোকপাড়া এলাকায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে গ্রামবাসীদের বিস্তর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কারণ গ্রাম থেকে কিলোমিটার খানেক আলপথের পরে সেচখাল পাড়ে মোরাম রাস্তার নাগাল পান গ্রামবাসীরা। অন্যথায় পাশ্ববর্তী কলেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকার ছামনায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার নাগাল পান তাঁরা। |
|
ভরসা সেই আলপথ। নিজস্ব চিত্র |
বাসুদেব বাগদি, সন্ন্যাসী বাগদিরা বলেন, “৪ কিমি দূরে রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের রোগী নিয়ে যেতে হয় ১০-১৫ কিলোমিটার দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। লোকপাড়া স্কুলের ছাত্র নকুল বাগদি, আরাধনা দাসদের কথায়, “বছরের অন্য সময় সাইকেল করে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও বর্ষাকালে আমাদের কাদা মাড়িয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়।” গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের জন্য বার বার প্রশাসনের কাছএ দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ঢেকা পঞ্চায়েতের প্রধান, কল্যাণী দাস বলেন, “সত্যিই রাস্তা না থাকায় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় জমির অভাবে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।” ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “গ্রামবাসীরা প্রয়োজনীয় জমি দিলে ১০০ দিনের কাজে যত দ্রুত ওই গ্রামে রাস্তার কাজ করা হবে।” |
|
|
|
|
|