|
|
|
|
ছড়া-ছবি দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে প্রবীণদের |
অর্ঘ্য ঘোষ • কীর্ণাহার |
সহজপাঠকে থিম করে সাড়া ফেলে দিয়েছে কীর্ণাহারের পশ্চিমপট্টি সর্বজনীন কার্তিক পুজো কমিটি। মুন্সিয়ানার সঙ্গে তাঁরা ফুটিয়ে তুলেছেন ‘ছোট খোঁকা বলে অ-আ শেখেনি সে কথা কওয়া’র ছড়া ছবি। কচিকাঁচারা তো বটেই বড়রাও ভিড় জমাচ্ছেন মণ্ডপে। এই সব দেখে অনেকে হারিয়ে যাচ্ছেন শৈশবে অ-আ-ক-খ শেখার দিনগুলিতে।
কীর্ণাহার পশ্চিমপট্টির পুজো এ বার দ্বিতীয় বর্ষ। এ বার রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে সহজপাঠের ছড়া ছবিকে থিম করেছেন তাঁরা। পুজো কমিটির সম্পাদক সুমন মণ্ডল বলেন, “রবি ঠাকুরের অ-আ-ক-খ দিয়েই আমাদের প্রথম পাঠ শুরু হয়েছিল। তাই কবির সার্ধশতবর্ষে সহজপাঠের থিমে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন।” |
|
ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি |
স্বভাবতই কচিকাঁচারা থেকে প্রবীণেরাও ভিড় জমাচ্ছেন মণ্ডপে। প্রথম শ্রেণির প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃতীয় শ্রেণির মামাই মুখোপাধ্যায়দের কথায়, “বইয়ের ছড়া ছবি পুজো মণ্ডপে দেখে বেশ ভাল লাগছে।” প্রবীণ রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যনারায়ণ মণ্ডলরা বলেন, “সেই কবে সহজপাঠ পড়েছি। মণ্ডপে ছড়া-ছবি দেখে শৈশবের দিনগুলির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।” মূর্তিতেও রয়েছে বিশেষত্ব। কার্তিক, বিষ্ণুর পাশাপাশি রয়েছে সতী কাঁধে বিশাল আকৃতির মহাদেবের মূর্তি। এ ছাড়া, রয়েছে নানা দেবদেবীর দৃশ্যায়নও। পুজো কমিটির আহ্বায়ক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দর্শকদের অভিনবত্বের স্বাদ দিতেই বিভিন্ন মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে।”
এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলহিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের যোগ দান। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণ সবেতেই খুসবু বেগম, আনসারি বেগম, মসিয়ার রহমান, সৈয়দ আরোজের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন পুষ্প সাধু, ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁরা বলেন, “পুজোকে আমার শুধু পুজো হিসেবে দেখি না। কার্তিক পুজো মানে আমাদের কাছে একটা সর্বজনীন উৎসব।” পুজো কমিটির সভাপতি বকুল মুখোপাধ্যায় জানান, সর্বধর্ম সমন্বয়ের এই ধারাকে তাঁরা উৎসবের মেজাজে ধরে রাখতে চান। |
|
|
|
|
|