টুকরো খবর
গাড়ি রাখা নিয়ে সমস্যা রামপুরহাট স্টেশনে
নিজস্ব চিত্র
স্টেশন চত্বরে নতুন করে কোনও গাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এই দাবিতে সরব হলেন অটো, ট্রেকার মালিক, চালক, কর্মচারীরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনগুলি। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট ‘অটো রিকশা ট্রেকার বাঁচাও কমিটি’র ব্যানারে যৌথ ভাবে তিনটি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা দলীয় পতাকা নিয়ে শহরজুড়ে মিছিল করেন। পরে তাঁরা রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন। আইএনটিউসির পক্ষে আব্দুর রেকিব, সিটুর বিমলকুমার দাস, আইএনটিটিইউসির পক্ষে জাহাঙ্গীর শেখরা বলেন, “রামপুরহাট স্টেশন চত্বরে ২৫০টি অটো এবং ৭০টি ট্রেকার শুধুমাত্র তারাপীঠ মন্দির থেকে যাওয়ার জন্য থাকে। স্টেশন চত্বরে সমস্ত গাড়ি রাখার জায়গা না থাকার জন্য স্টেশনের দক্ষিণ দিকে ছফুঁকো যাওয়ার রাস্তায় ও কিছু গাড়িকে পাঁচ মাথায় সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যা প্রশাসনের আপত্তির কারণ। বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সংখ্যক অটো ও ট্রেকার হওয়ায় প্রতিদিন গাড়ি মালিকেরা ভাড়া পান না। তার উপরে অবৈধ যন্ত্র চালিত ভ্যান রিকশা ও ব্যক্তিগত মালিকানার গাড়ির দৌরাত্ম।” এই অবস্থায় ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে গাড়ির ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধ, ট্যাক্স প্রভৃতি বিষয় চালাতে সমস্যায় পড়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে এ দিন তাঁরা দাবি করেছেন, স্টেশন চত্বরে রাখার জন্য নতুন করে অটো বা কোনও গাড়িকে অনুমতি না দেওয়া হয়। রামপুরহাট স্টেশনের অবস্থা সম্পর্কেও মহকুমাশাসককে অবগত করেছেন স্টেশন ম্যানেজার। তাঁদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, “দাবিগুলি যুক্তিসঙ্গত।”

প্ল্যাটফর্ম বাড়ানোর দাবি রামপুরহাটে
উত্তরোত্তর রামপুরহাট স্টেশনের উপর দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বাড়ছে। অথচ স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়েনি। এর ফলে দূরপাল্লার ট্রেন থেকে লোকাল ট্রেন রামপুরহাট স্টেশনে সময় মতো ঢোকার জন্য জায়গা পাচ্ছে না। ট্রেনগুলিকে রামপুরহাট স্টেশনের বাইরে কিংবা তারাপীঠ স্টেশন রোড, সাদীনপুর স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবে স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম বাড়ানোর দাবি উঠেছে। দীর্ঘদিন আগে রামপুরহাট স্টেশনে ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম তৈরির অনুমোদন রেল দফতর দিলেও তার কাজ এখনও শুরু হয়নি। তাই ওই দু’টি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ অবিলম্বে শুরু করার দাবি জানিয়েছে রামপুরহাট মহকুমা যাত্রী সঙ্ঘ। সংগঠনের সম্পাদক আইনজীবী সত্য ভট্টাচার্য বলেন, “প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি-সহ নির্মীয়মাণ ওভারব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ে ক্যান্টিন চালু করা, পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়েছে। বুধবার এ ব্যাপারে স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।” স্টেশন ম্যানেজার আনন্দ মুখোপাধ্যায় দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আশ্বাস দিয়েছেন।

জামিনে মুক্তি টিকিট পরীক্ষক
মদ্যপ অবস্থায় যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগে এক টিকিট পরীক্ষককে গ্রেফতার করল রেলপুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়া স্টেশনে ডাউন গয়া-হাওড়া এক্সপ্রেসে। বৃহস্পতিবার অবশ্য ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা টিকিট পরীক্ষক সঙ্গীত চক্রবর্তী জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। এই ঘটনার জেরে ট্রেনটিকে চার মিনিট সাঁইথিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সাঁইথিয়া স্টেশন ম্যানেজার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “হাওড়া কন্ট্রোলের নির্দেশ মতো কর্তব্যরত সহকারি স্টেশন মাস্টার রেল পুলিশের কাছে মেমো মাধ্যমে অভিযোগ জানান।” রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই টিকিট পরীক্ষককে ট্রেন থেকে নামিয়ে আনা হয়। গ্রেফতার করে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মদ্যপ অবস্থার প্রমাণ মেলে। সাঁইথিয়া জিআরপির ওসি বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য বলেন, “সঙ্গীতবাবুর বিরুদ্ধে তেমন কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। তবে তিনি নেশা করেছিলেন। এ ব্যাপারে যা ব্যবস্থা নেওয়ার রেল নেবে।” এ দিকে, ট্রেনটি এমনিতে আধ ঘণ্টা দেরিতে এসেছিল। এই ঘটনার জেরে চার মিনিট আরও দেরি হয়।

মারধরের নালিশ
এক কিশোরীকে ‘উত্যক্ত’ করায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই কিশোরী-সহ তার মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রামপুরহাট পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের। ওই কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, বুধবার স্কুলে যাওয়ার সময়ে তাঁর মেয়েকে এক যুবক উত্যক্ত করে। তাঁরা প্রতিবাদ করলে ওই যুবক কটূ কথা বলেন। পুলিশে জানালে মেয়ের ক্ষতি করে দেবে বলে হুমকি দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এবং তাঁর মেয়ে পাড়ার দোকানে ডিম আনতে গেলে আচমকা কয়েক জন যুবক ও মহিলা তাঁদের চুলের মুঠি ধরে ইট দিয়ে আঘাত করেন। চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

বাইক-মিছিল
সারের কালোবাজারি রুখতে এবং সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার জন্য গ্রামে গ্রামে সচেতনতা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। এই উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার বোলপুর থানার কঙ্কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা বাইকমিছিল করেন। দলের অন্যতম জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “দলের জেলা সভাপতির নির্দেশে বিভিন্ন ব্লকের সভাপতিদেরকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।” এ দিন বোলপুরের কঙ্কালিতলা পঞ্চায়েতের আদিত্যপুর, প্রান্তিক, পারুলডাঙা, দোনাইপুর-সহ বিভিন্ন গ্রামে বাইক মিছিল করে তৃণমূল। অন্য দিকে, কঙ্কালিতলা অঞ্চলের নিমাই দাস গোষ্ঠীর লোক প্রকাশ্যে বাইক মিছিলে বিরোধী গোষ্ঠী সমীর রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তবে জেলা নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

স্মারকলিপি

সাক্ষরভারত মিশন প্রকল্পে প্রেরকপদে প্রতি পঞ্চায়েত পিছু দু’জন করে কো-অর্ডিনেটর পদে জানুয়ারি মাস থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কেউ এখনও পর্যন্ত মাসিক ২ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন না। তাই বকেয়া টাকার দাবিতে সোমবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ওই সব কর্মীরা। রামপুরহাট মহকুমা প্রেরক সংগঠনের পক্ষে সম্পাদক গয়ানাথ লেট বলেন, “পঞ্চায়েত এলাকায় সাক্ষরতার কাজ করার পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমরা যোগ দিচ্ছি। সরকারি নির্দেশ মতো মাসে ২ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা পাইনি।” ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.