সরকারি অনুদানের চাল দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষজনের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিলি না করার অভিযোগে এক রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করলেন মঙ্গলকোটের বিডিও প্রদীপ মজুমদার। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে রেশন ডিলারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
মঙ্গলকোটের গোতিষ্ঠা পঞ্চায়েতের কাশেমনগরের রেশন ডিলার বিল্লেশ্বর দাসকে সাসপেন্ড করেছেন বিডিও। অভিযোগ, ২২৮ নম্বর এমআর ডিলার বিল্লেশ্বর দাসকে বিপিএল তালিকাভুক্তদের মধ্যে প্রথম দফায় মাথা পিছু চার কিলোগ্রাম ৭৮০ গ্রাম এবং দ্বিতীয় দফায় ছয় কিলোগ্রাম ১৯৯ গ্রাম চাল বিলির নির্দেশ দেন বিডিও। গত ১৬ অক্টোবর গ্রামবাসীরা বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ওই ডিলার দু’দফা মিলিয়ে মাথা পিছু এক কিলোগ্রাম ৬৯৯ গ্রাম চাল কম দিয়েছে। বিপিএল তালিকাভুক্ত মহম্মদ আলি শেখ, রাজু মাঝিদের অভিযোগ, “আমরা অধিকাংশ মানুষই নিরক্ষর। আমাদের অজ্ঞাতে ডিলার নথিপত্র ঠিক করে রেখেছে। ডিলারের গুদামে প্রচুর চাল মজুত রয়েছে।”
এই অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রশাসন তদন্তে নামে। পুলিশের উপস্থিতিতে সম্প্রতি রেশন ডিলারের এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ১৮ কুইন্ট্যাল চাল উদ্ধার করা হয়। তা রেশন ডিলারের গুদামে সিল করে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে ওই চাল রেশন ডিলারের কাছ থেকে নিয়ে যান খাদ্য ও ত্রাণ দফতরের আধিকারিকেরা। বিডিও বলেন, “বাকি চাল বিলি করে দেওয়ার জন্য ওই ডিলারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা অমান্য করায় সাসপেন্ড করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার এলাকায় মাইকে করে ঘোষণা করা হয়েছে, যে সব গরিব মানুষজন রেশন ডিলারের থেকে কম চাল পয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাকি চাল বিলি করা হবে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রায়ের অভিযোগ, “ওই ডিলার রেশনের সামগ্রী উপভোক্তাদের বিলি করার বদলে বিক্রি করে দিতেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সকলের শাস্তির দাবিতে আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি পাঠিয়েছি।” সদ্য সাসপেন্ড হওয়া রেশন ডিলার অবশ্য বলেন, “দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের জন্য গরিব মানুষদের মধ্যে চাল বিলি করতে পারিনি। সে কারণে আমাকে সাসপেন্ড হতে হল।” |