মার্কেট কমপ্লেক্সের স্টল বিলির পদ্ধতি নিয়ে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে। সিপিএম নিয়ন্ত্রিত জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিরামপুরে বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় মার্কেট কমপ্লেক্সটি তৈরি হয়। নিচতলায় ২৪টি স্টল তৈরি করে উপরতলাটি উৎসব ভবন করা হয়। এদিন বালুরঘাটে জেলা পরিষদ ভবনে স্টল বিলির জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে লটারির উদ্যোগ নিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পুরনো দোকানিদের স্টল বিলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের দাবি তুলে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ওই মার্কেট কমপ্লেক্সে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। হরিরামপুরে চৌমাথার মোড়ে জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি শুভাশিস পালের নেতৃত্বে লোকজন সকাল ১০টা নাগাদ পথ অবরোধ করেন। শুভাশিষবাবু বলেন, “পুরনো ব্যবসায়ীদের ওই কমপ্লেক্সে পুনর্বাসনের দাবি এড়িয়ে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ মোটা টাকা সেলামির মাধ্যমে স্টল বন্টনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়া বাতিল করা না হলে আন্দোলন চলবে।” গণ্ডগোলের খবর পেয়ে এদিন অধিকাংশ আবেদনকারী ব্যবসায়ী লটারিতে অংশ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এরপরে বেলা ১১টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, সিপিএম নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, “২৪টি স্টলের মধ্যে পুরনো ব্যববসায়ীদের জন্য ৮টি স্টল সংরক্ষণে রেখে বাকি ১৬টি স্টল বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পুনর্বাসনের লক্ষে পুরনো ওই ৮ জন ব্যবসায়ীকে লটারির আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। তাদের সেলামির টাকা জেলা পরিষদে জমা দিতে বলা হয়েছিল। কংগ্রেস অহেতুক গোলমাল বাঁধিয়ে সমস্যা তৈরি করতে চাইছে।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “স্টল বিলি নিয়ে কংগ্রেসের প্রস্তাব থাকলে তা লিখিত ভাবে জানাক। মার্কেট কমপ্লেক্সে তালা মেরে প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “যে ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ হয়েছিলেন তাঁদের পুনর্বাসনে আগে স্টল দিতে হবে। গরিবদের থেকে সেলামির টাকা নেওয়া চলবে না।” |