সব ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে। শুধু একটু পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার। তা হলেই হলদিবাড়ি স্টেশনটি আরও একটু উজ্জ্বল হতে পারে। বাড়তে পারে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা। রেল কর্তৃপক্ষ সেই বৃটিশ আমলে তৈরি স্টেশনটির প্রতি কোনও নজর দিচ্ছেন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। হলদিবাড়ি স্টেশনের অন্য একটি প্ল্যাটফর্ম পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এই প্ল্যাটফর্মটিকে উন্নত করার দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। কারণ, বর্তমানে হলদিবাড়ি থেকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়লেও মাত্র একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বাসিন্দারা যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়া স্টেশন চত্বরে একটি গুদামঘর পরিতাক্ত। বাসিন্দাদের দাবি, পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্মটিকে উন্নত করা হোক। এই নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল ও পুরসভার তরফেও রেল দফতরে চিঠিও দেওয়া হয়। লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম ভূষণ পটেল বলেন, “পুরানো প্ল্যাটফর্মটি আমাদের নজরে আছে। হলদিবাড়িতে গাড়ির সংখ্যা বাড়লে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।” হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “একটি প্ল্যাটফর্ম এবং একটি গুদাম পরিত্যক্ত। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য অবিলম্বে প্ল্যাটফর্মগুলি উন্নত করে ব্যবহারযোগ্য করার দাবি জানানো হয়েছে।” |
হলদিবাড়ি ব্যবসায়ীরাও চান স্টেশনের অন্য একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় আনা হোক। কারণ, হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে কলকাতা এবং অন্যান্য এলাকাতেও সব্জি যায়। বাইরে থেকেও ব্যবসায়ীরা প্রচুর জিনিসপত্র আনেন। সেক্ষেত্রে ট্রেনে ওঠানো নামানোর কাজ হয় এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই হতে পারে। হলদিবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, “আমরা চাই প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় আনা হোক। তাহলে সকলেরই সবিধা হবে।” হলদিবাড়ি স্টেশনের পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্মটি স্বাধীনতার আগে মালগাড়ি থেকে মালপত্র নামানোর কাজে ব্যবহার করা হত। স্বাধীনতার পরে তখনকার পাকিস্তানের ট্রেন আসলে এই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াত। পরবর্তীকালে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে প্ল্যাটফর্মটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এখন দিনের বেলা এই পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্মটি বাসিন্দাদের ঘুঁটে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এখানে খেলাধুলা করে। চারপাশে জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছে। রাত্তির বেলায় তা সমাজবিরোধীদের দখলে চলে যায়। |