বরাদ্দ খরচই হয়নি, ক্ষোভ
ংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্প খাতে তিন বছর আগে পাঠানো ৫৮ কোটি টাকার মধ্যে ৩৫ কোটি টাকা খরচ করতে পারেনি মালদহ জেলা প্রশাসন। ফলে গত দু’বছর ধরে এমএসডিপি ফান্ডে মালদহ জেলার জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যরা মালদহে পরির্দশনে এসে বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্পের খাতে তিন বছর ধরে বিপুল পরিমাণের অর্থ পড়ে থাকার রিপোর্ট হাতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিশনের সদস্যরা। জেলা প্রশাসনের কর্তা, বিভিন্ন রাজনেতিক দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা খরচ করা হচ্ছে না। ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মালদহ জেলাকে ৫৮ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল। এই জেলায় ৫০ শতাংশের উপরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। অথচ তিন বছরে মাত্র ৪১ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। ৫৯ শতাংশ টাকা খরচ করতে পারেনি।” তিনি জানান, জেলা প্রশাসনকে দ্রুত বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা খরচ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রকল্পের টাকা সময় মতো খরচ না-পারার কারণ হিসাবে প্রশাসনের কর্তারা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে কর্মীর অভাবকে দায়ী করছেন। কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “রাজ্য সরকারকে বিষয়টি রিপোর্ট করা হবে। এখনই সংখ্যালঘু দফতরে কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। তা স্বত্বেও জেলার অন্যান্য দফতর থেকে কর্মীদের এনে বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্পের খাতে পড়ে থাকা টাকা দ্রুত খরচ করার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।” মিশনের চেয়ারম্যান মনে করেন, সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজ হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে অপরাধের প্রবণতা কমে যেত। শিক্ষার অভাব ও অনুন্নয়নের কারণেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, “প্রকল্প খাতে ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে জেলার ১৩ ব্লকে অতিরিক্ত ক্লাস রুম তৈরির জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ১০ ব্লকে কাজই শুরু হয়নি। কেবলমাত্র রতুয়া-২, গাজল, মানিকচক ব্লকে কাজ চলছে। কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকে ১৫টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিল্ডিং তৈরির জন্য ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ও হবিবপুরে একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য মোট ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলেও এখন পর্যন্ত একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অতিরিক্ত ঘর তৈরির কাজ শুরুই হয়নি। একই হাল বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্পের আমার বাড়ি, ইন্দিরা আবাসন প্রকল্প-সহ একাধিক প্রকল্প। এদিকে, সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা খরচ না-হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন কমিশনের সদস্য তথা আরএসপি বিধায়ক রহিম বক্সি। তিনি বলেন, “বতর্মান রাজ্য সরকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকার একটি প্রতিশ্রুতি রাখেনি। জেলা প্রশাসনকে বহুবার বলেছি প্রকল্পের টাকা খরচ করুন। জেলা প্রশাসন আমাদের কোনও কথা শুনছে না। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের অনীহার জন্য বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা খরচ না হয়ে পড়ে রয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.