৮ দিনে একুশ মালদহে আরও
তিন শিশুর মৃত্যু
শিশু মৃত্যু বেড়েই চলেছে মালদহ সদর হাসপাতালে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে আরও ৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত ৮ দিনে ২৭ টি শিশুর মৃত্যু হল সদর হাসপাতালে। এদিকে সদর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর হার কিছুতেই না কমায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য কর্তা থেকে শুরু করে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। শিশু মৃত্যু কমাতে মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের সুপার, মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ-সহ জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সদর হাসপাতালে পুলিশ পিকেট বসিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ, স্ত্রী বিশেষজ্ঞদের মালদহ সদর হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শিশু মৃত্যু রুখতে মালদহ সদর হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের পাশে স্টেবিলাইজেশন ইউনিট খোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লক হাসপাতাল থেকে ওয়ার্মার যন্ত্র আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাক বলেন, “শিশু মৃত্যু রুখতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে সম্প্রতি যে সমস্ত শিশু বিশেষজ্ঞ কাজে যোগ দিয়েছেন তাদের সদর হাসপাতালে কাজ করার জন্য মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৃহাসপাতালে চিকিৎসকরা যাতে কাজ করতে কোনও বাধা না পায় সেই জন্য সদর হাসপাতালে পুলিশ পিকেট বসানোর জন্য হাসপাতালের সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি জেলার গত কয়েক দিনে মালদহ সদর হাসপাতালে যে এলাকার শিশু মারা গিয়েছে সেই সমস্ত এলাকার হেলথ সেন্টারের স্বাস্থ্য-আইসিডিএস-আশার কর্মীরা পোয়াতি মায়েদের ঠিকমতো পরিচর্যা করেছে কি না জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ওই এলাকার গিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আইসিডিএস কেন্দ্রগুলি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের যুক্তি, হাসপাতালে যে সমস্ত শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশির ভাগেরই ওজন ঠিল কম। প্রসূতি মায়েদের ঠিকমতো পরিচর্যা না হওয়ার কারণেই শিশুগুলির ওজন কম ছিল বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। মালদহ সদর হাসপাতালের সুপার বলেন, “আরও তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মৃত্যু রুখতে লেবার রুমের পাশে একটি স্টেবিলাইজেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। শিশু প্রসব করার পরই যে সমস্ত শিশুর অবস্থা খারাপ থাকবে তাদের ওই ইউনিটে রাখা হবে। শিশুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পরই স্থানান্তরিত করা হবে। মেডিক্যাল কলেজে শিশু বিশেষজ্ঞরা কাজ শুরু করলে পরিষেবার উন্নতি হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.