বাপি দে’র দুটি পা ট্রেনে কাটা পড়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে ট্রাইসাইকেলে বসে একটি পানের দোকান করে রুজিরুটির ব্যবস্থা করতে হয় ৩৮ বছরের ওই যুবককে। কোনও দোকান ঘর নেই। শান্তিনগরের বাসিন্দা রতন রায়ের ডান পা হাঁটাচলায় জন্য অক্ষম। টিভির দোকানে কাজ করে যে সামান্য আয় করেন তা দিয়ে সংসার চলে না। একই পরিস্থিতি সাধন সরকার, জগদীশ রায়দেরও। রতনবাবুর ডান হাতে মাত্র ১ টি আঙুল রয়েছে। কারখানায় কাজ করার সময় যন্ত্রাংশে ডান হাতের কব্জির কাছ থেকে কাটা পড়েছে জগদীশবাবাবুর। তিনি বর্তমানে ঠোঙা তৈরি করে সংসার চালান। তাঁদের মতো প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শিলিগুড়ি থেকে সাইকেল, ট্রাইসাইকেল চালিয়ে কলকাতায় যাবেন ওই চার যুবক। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান শিলিগুড়ি ফ্রেন্ডস অব দ্য ডিসেব্লড কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা সংগঠনের ওই চার প্রতিবন্ধী এর আগেও শিলিগুড়ি থেকে ট্রাইসাইকেল, সাইকেলে কলকাতা, দিল্লি, সিকিম গিয়েছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর তাঁরা কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করবেন। ৬ দিনে কলকাতায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সংগঠনের সম্পাদক খোকন ভট্টাচার্যের দাবি, “প্রতিবন্ধীরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন না। কেন্দ্র এবং রাজ্যের বহু প্রকল্প রয়েছে প্রতিবন্ধীদের। অথচ তার সুবিধা যথাযথ ভাবে না মেলার জন্য এখানে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরা কষ্টে দিন কাটান। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন সংরক্ষণ বাড়াতে হবে। জেলাস্তরে তাঁদের জন্য কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই সমস্ত সমস্যা সমাধানের আর্জি নিয়ে চার জন সাইকেল এবং ট্রাইসাইকেল চালিয়ে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় যাবেন।” সংগঠনের অভিযোগ, প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরা সরকারি বিভিন্ন সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র নেই। প্রতিবন্ধীদের অনেকেই ভাতা পান না। আর পাঁচ জন ছেলেমেয়ের সঙ্গে স্কুলে যাতে তাঁরা পড়াশোনা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা দরকার। প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা খরচ সরকারের তরফে দেওয়া হোক। যে সমস্ত সরকারি সুযোগসুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রতিবন্ধীরা যাতে তা পান তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
মদ রুখতে আন্দোলন। বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে মহিলারা আন্দোলনে নামায় উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি থানার অরবিন্দপল্লিতে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অরবিন্দপল্লির একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে এলাকায় নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মহিলারা সরব হলেও কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এদিন মহিলাদের একটি দল ওই বাড়িতে ঢুকে বেশ কিছু মদের বোতল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে স্থানীয় মহিলাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এর পর যাতে মদ বিক্রি করা না হয় তা নিয়ে অভিযুক্তকেও সতর্ক করে দেয় পুলিশ। |