কাঠা পিছু ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার বিনিময়ে শিলিগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে শিল্পোদ্যোগীদের জমির লিজ ২০৭৩ সাল পর্যন্ত নবিকরণ করা বাধ্যতামূলক করল রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম। সোমবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম চেয়ারম্যান সব্যসাচী বাগচী শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে বৈঠকে তা জানান। ওই মূল্য কমানোর দাবি তুলেছেন শিল্পদ্যোগীদের একাংশ। পাশাপাশি শিলিগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট এবং ডাবগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন তারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই শিল্প তালুকে পানীয় জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। প্রায় ৯০ টি ইউনিটের হাজার তিনেক কর্মীদের বিপাকে পড়তে হয়। কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। রাস্তা, নিকাশি বেহাল। পথবাতি জ্বলে না। আবর্জনা সাফাই না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়। রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয় নিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী বাগচী বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে স্বল্প সময়ের লিজ নিয়ে অনেকে ইউনিট গড়েছেন। তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী লিজ চাইছিলেন। সরকারি স্তরে সমীক্ষা করে ২০৭৩ সাল পর্যন্ত লিগ দিতে কাঠাপ্রতি ৪ লক্ষাধিক টাকা ঠিক করা হয়েছিল। |
শিল্পোদ্যোগীদের সুবিধার জন্য তা কমিয়ে ১ লক্ষ ১৬ হাজার করা হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে সকলকেই লিজ নিতে হবে। যে সমস্যার কথা তারা জানিয়েছেন সেগুলির সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।” শিলিগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। ডাবগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে অনেকে জমি নিয়ে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখেছেন। যে সমস্ত শিল্পোদ্যোগী কাজ করতে চান তাঁদের সেই জায়গা দেওয়া হোক। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি মাইক্রো অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রি অপারেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অরূপ নন্দী বলেন, “পরিকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কথা রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি লিজের জন্য যে টাকা ধার্য করা হয়েছে তা কমানোর দাবি জানানো হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী লিজ নিতে আমরা কাটা প্রতি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি। শিল্প তালুকে একটি হোটেল রয়েছে। দিনভর যেখানে বাইরের গাড়ি যাতায়াত করে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। তাতে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা তার বিরোধিতা করছি। সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা না হলে বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” |