পঞ্চায়েতের একাধিক প্রকল্পে টাকা খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত তা দেয় নি। এই অভিযোগ তুলে প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে না দিয়ে সেই অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। ঘটনাটি খাতড়া ব্লকের সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। মঙ্গলবার দুপুর প্রায় একটা থেকে পঞ্চায়েতের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ভিতরেই কর্মীরা আটকে পড়েন।
তৃণমূলের সুপুর অঞ্চলের সভাপতি মহাদেব গিরি অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীদের দাবি-দাওয়া গুরুত্ব দিচ্ছেন না সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান। আমরা তাঁর কাছে ২০০৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১০০ দিন কাজের, সামাজিক বনসৃজন, ইন্দিরা আবাস, বার্ধক্য ভাতা-সহ নানা প্রকল্পে মোট কত টাকা খরচ হয়েছে তার হিসেব চেয়েছিলাম। কিন্তু, প্রঘান তা দিতে পারেন নি।” তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিটি কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাই তিনি হিসেব দিতে গড়িমসি করছেন। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের সামনে তৃণমূলের শ’তিনেক কর্মী-সমর্থক অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা পঞ্চায়েতের ১০ জন কর্মীকে ঢুকতে দেন। কিন্তু তাঁরা প্রধান সূর্যনারায়ণ কিস্কুকে ঢুকতে বাধা দেন। বাধা পেয়ে তিনি আর অফিসে ঢোকেন নি। পরে দুপুর প্রায় একটা নাগাদ কর্মীদের ভিতরে আটকে রেখে পঞ্চায়েতের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি শ্যামল সরকারের অভিযোগ, “সুপুর পঞ্চায়েত এলাকায় হাপা খনন-সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দ টাকার বড় অংশ সিপিএম পরিচালিত এই পঞ্চায়েত নয়ছয় করছে। তাই ওরা খরচের হিসেব দিতে পারছেন ন।” পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা খরচ করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।” তাঁর দাবি, “কিছু সমস্যার জন্য এখন হিসাব দেখাতে পারিনি, তা সত্যি কথা। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এ দিন আমাকে অফিসের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি তৃণমূল। অফিস কর্মীদের আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে তাঁরা।” |