|
|
|
|
বেহাল রাস্তা সংস্কারে আশ্বাসই সার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
গোটা রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। কোথাও গভীর গর্ত, কোথাও আবার পিচ উঠে গিয়েছে। একে সঙ্কীর্ণ রাস্তা, তায় নিচু। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-বাঙ্গুচক মোড় থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের দেহাটি ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তার এমনই হাল। এর মধ্যে প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশ ফি বছর বর্ষাকালে থাকে জলের তলায়। দুই জেলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা প্রশাসনিক উদাসীনতায় সম্পূর্ণ বেহাল। অভিযোগ, পূর্ত দফতরের আশ্বাসই সার। বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি একচুল।
কাঁথি ও এগরা মহকুমার একটি বড় অংশের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরার যোগাযোগের সহজ রাস্তা এটি। দশকের পর দশক ধরে রাস্তাটি চওড়া করা, সংস্কার ও কিছু অংশ ঢালাইয়ের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। কয়েকটি অংশে সামান্য সংস্কার ছাড়া এত দিনে আর কিছুই হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেলা ভাগের পরেও রাস্তাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের পূর্ত দফতরের অধীনে থাকায় অবহেলিত। এ দিকে, পটাশপুর-১ ও ২ ব্লকের উপর দিয়ে যাওয়া ওই রাস্তার সঙ্গে অন্য বেশ কয়েকটি রাস্তাও জুড়েছে। যেগুলি দিয়ে নিয়মিত বাস, ট্রেকার, লরি চলাচল করে। বেহাল রাস্তায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বর্ষার সময় জলের স্রোতে রাস্তার নিচু অংশ ধুয়ে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। |
|
পটাশপুর বাজার থেকে দেহাটি সেতু পর্যন্ত রাস্তা এমনই বেহাল। নিজস্ব চিত্র। |
এলাকার তৃণমূল নেতা সোমনাথ দাস অধিকারী বলেন, “রাস্তাটির নৈপুর লক্ষ্মীবাজার থেকে বিশ্বনাথপুর ব্রিজ পর্যন্ত পৌনে ২ কিলোমিটার এবং কানাইভাঙর থেকে দেহাটি ব্রিজ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার অংশ বছরের দু’মাস জলে ডুবে থাকে। ফলে মাঝেমধ্যেই রাস্তায় ধস নামে। ভারী যান চলাচল করায় রাস্তা বসে যায়। ফলে আরও জল জমে। সে জন্য রাস্তাগুলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।” পটাশপুর ১-এর যুগ্ম বিডিও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “রাস্তা সংস্কার-সহ কানাইভাঙর অংশে কংক্রিটের ঢালাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সাড়া মেলেনি।” তাঁর দাবি, এগরা-১ ব্লকের কুদিতে এগরা-সোলপাট্টা রাস্তায় একই পদ্ধতিতে সাফল্য মিলেছে। রাস্তার যে অংশ জলে ডুবে থাকে বা জল প্রবাহিত হয়, সেখানে ঢালাই করলে জল নিকাশি স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি রাস্তার ক্ষতি হয় না। জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্য সিপিএমের অনাদিনন্দন রথ বলেন, “যান চলাচল যাতে বন্ধ না হয় সে জন্য ২০০৭-এ শেষ বার ওই রাস্তায় কিছু কাজ হয়েছিল। পূর্ত দফতর শুধুই আশ্বাস দেয়। জানায়, কয়েক কোটি টাকার পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার অনুমোদন মেলে না, রাস্তা একই রকম থাকে।” পূর্ত দফতরের (পশ্চিম মেদিনীপুরের হাইওয়ে ডিভিসন ১) এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অশোক মণ্ডল বলেন, “রাস্তাটি সম্প্রসারণ ও সংস্কার এবং কানাইভাঙর অংশে ৩ কিলোমিটার রাস্তা ঢালাইয়ের জন্য প্রকল্প তৈরি হয়েছে। সরকারি ভাবে বলা হয়েছিল, ওই প্রকল্পে ব্যয় করা হয় ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন ক্র্যাপ্ট ফান্ডের টাকা। জুলাই মাসে পাঠানো ওই প্রকল্পের এখনও অনুমোদন মেলেনি। কেন্দ্র থেকে রাজ্যে ওই টাকা এখনও আসেনি।” |
|
|
|
|
|