|
|
|
|
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্প রূপায়ণে পটাশপুরে বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্পের রূপায়ণ নিয়ে ফের বৈঠকে বসছেন মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকেরা। পটাশপুরের পালপাড়া কলেজ অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক হবে আগামী বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর। বৈঠকে থাকবেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী, সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, পটাশপুর, ভগবানপুর, চণ্ডীপুরের বিধায়ক। থাকবেন পটাশপুর-১ ও ভগবানপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত প্রতিনিধি-সহ সেচ দফতর, জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা। সোমবার তমলুকে এক অনুষ্ঠানে মানসবাবু বলেন, “৬৫৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই টাকায় দ্রুত কাজ শুরুর জন্য পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন, সেচ দফতর, বিধায়ক ও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হবে ওই দিন। পূর্ব মেদিনীপুরে নদী সংস্কার প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ-সহ নানা বিষয় নিয়েও সেখানে আলোচনা হবে।”
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই নদী সংস্কারের দাবি দীর্ঘ দিনের। নদী ও সংলগ্ন খাল মজে যাওয়ায় প্রতি বছর বন্যার কবলে পড়ে পটাশপুর, ভগবানপুর, সবং, পিংলা-সহ দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ৬৫৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ দেবে অর্থ দেবে কেন্দ্র ও ২৫ শতাংশ দেবে রাজ্য। প্রকল্প রূপায়ণের জন্য সবংয়ে রাজ্য সেচ দফতর একটি নতুন ডিভিশন অফিস খুলেছে।
জেলা পরিষদ ও সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই বেসিন ড্রেনেজ স্কিম’এর প্রথম পর্যায়ে কেলেঘাই নদীর ঢেউভাঙা থেকে লাঙলকাটা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার অংশ সংস্কার হবে। নদীর বুকে জমে থাকা পলি তোলার জন্য নদীর চরে খনন করা হবে। প্রকল্পের জন্য নদী গতিপথের মধ্যে থাকা জমি অধিগ্রহণ করা হবে। তবে নদী বাঁধের বাইরে কোনও জমি অধিগ্রহণ হবে না। প্রকল্প রূপায়নে নদীর নিম্ন অববাহিকা থেকে কাজ শুরু হবে। ধাপে ধাপে উচ্চ অববাহিকার দিকে পলি তোলার কাজ হবে।
প্রকল্পের একটি বড় অংশ রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে। কেলেঘাই, বাগুই ও চণ্ডীয়া নদী সংস্কারের কাজ রয়েছে এই প্রকল্পের মধ্যে। নদী সংস্কারের ক্ষেত্রে স্থানীয় সমস্যার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু এলাকায় নদীর চর বেদখল হওয়া। নদীর চরে চাষজমি ছাড়াও বসতবাড়ি, গাছ, মাছ চাষের ভেড়ি এমনকি ইট ভাটাও তৈরি হয়েছে। নদীতে জমা পলি তোলা ছাড়াও এই সব বাধা সরাতে হবে। বেশ কিছু এলাকায় নদীর মধ্যে রায়ত জমিও আছে। ফলে ওই সব এলাকায় নদী সংস্কারের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে প্রকল্পের অংশের রূপায়ণ নিয়ে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া সোমবার তমলুক জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও করেন। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রকল্পের রূপায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশদ আলোচনা হবে। এ জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর পটাশপুরে বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দ টাকা চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই খরচ করার জন্য দ্রুত কাজ শুরু হবে।” |
|
|
|
|
|